একই সঙ্গে দুই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়। হাতে গোনা কয়েকজন অভিনেতার ক্ষেত্রেই এমন দৃষ্টান্ত দেখা যায়। আর রণিত রায় তাঁদের মধ্যে একজন।
'কসৌটি জিন্দেগি কে', 'কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি'— একতা কাপুরের জনপ্রিয় দুই ধারাবাহিকেই মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণিত। বড় পর্দায় কাজ করলেও টেলিভিশনই তাঁকে এনে দিয়েছিল কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। 'কসৌটি...'-তে ঋষভ বজাজ এবং 'কিঁউকি...'-র মিহির বিরানি হয়ে দর্শক-মনে ছাপ ফেলেছিলেন তিনি। তবে সাফল্যের এই পথ মসৃণ ছিল না মোটেই। নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে দিনরাত এক করে ফেলেছিলেন বাঙালি অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শোনালেনসেই আখ্যান।
'কসৌটি...'-তে নায়ক-নায়িকার সম্পর্কে চিঁড় ধরাতে আবির্ভাব হয়েছিল রণিত অভিনীত চরিত্রটির। কিন্তু তাতেও দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছিলেন অভিনেতা। তিনি বলেন, 'প্রথমে তিন মাসের একটি ব্রিফ দেওয়া হয়েছিল। এই চরিত্রের জন্য আমাকে কাঁচা-পাকা চুল করতে হয়েছিল। অন্য কোনও অভিনেতা নিজের চুল সাদা করতে রাজি ছিলেন না। তখন একতা আমাকে এই চরিত্রটি করার অনুরোধ করেছিল।'
একই সঙ্গে দুই ধারাবাহিকে অভিনয়! কম ঝক্কি তো নয়। 'কসৌটি...'-তে কাজ শুরুর পর দম ফেলার ফুরসৎ ছিল না রণিতের। তাঁর কথায়, 'আমাকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে বলা হয়েছিল। সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত শ্যুট করতাম।'
দেখা গেল, দু'টি ধারাবাহিকের শ্যুট করতে পুরো দিন লেগে যাচ্ছে। অগত্যা ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে হত রণিতকে। শটের ফাঁকে ফাঁকে খাওয়া আর ঘুম সেরে নিতেন একতার বালাজি টেলিফিল্মসের সেটেই। অভিনেতা বললেন, 'এ সব নিয়ে আমি কোনও দিন অভিযোগ করিনি। পাঁচ-ছ'বছর পর কাজ পেয়েছিলাম। তখন কাজ আর সাফল্যের খিদে আরও বেড়ে গিয়েছিল। রুটিরুজি জোগাড়েরও তাগিদ ছিল।'
ছোট পর্দার পর ফের বড় পর্দায় কাজ শুরু করেন রণিত। ওটিটি-তেও তিনি সমান ভাবে সাবলীল। আপাতত অভিনেতার হাতে একগুচ্ছ কাজ।