দীর্ঘদিন বিরতি কাটিয়ে অভিনয়ে ফিরেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এতদিন পর আবার তাঁকে ছোটপর্দায় দেখা যাচ্ছে। মেয়েবেলা ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এই ধারাবাহিকটি আর চার পাঁচটি ধারাবাহিকের থেকে অনেকটাই আলাদা গল্প নিয়ে এসেছে। এক ছাদের নিচে থাকা সমস্ত মহিলাদের একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক, রসায়ন তুলে ধরা হচ্ছে এই ধারাবাহিকে। ঘটনাচক্রে বীথি ওরফে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে ডোডোর ওরফে অর্পণ ঘোষালের সঙ্গে বিয়ে হয় মৌ ওরফে স্বীকৃতি মজুমদারের। কিন্তু বৌমাকে কিছুতেই সহ্য করতে পারছেন না বীথি। আর তাঁর এই চরিত্র আবার কিছুতেই পছন্দ হচ্ছে না অনুরাগীদের। এই ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো আসার পর থেকে এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা নিজেদের নানা মতামত জানাতে শুরু করেন।
এক ব্যক্তি প্রোমো ভিডিয়ো দেখে লেখেন, 'নেশাগ্রস্তের মতো অভিনয়।' আরেকজন লেখেন, 'বীথি মাসির চরিত্র থেকে অবিলম্বে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া উচিত। এখানে ইন্দ্রানী হালদারকে দেখতে চাই।' আরেক নেটিজেনের বক্তব্য, 'বেয়াদব মহিলা। একদম দেখতে চাই না। এমন করে যেন সবাই খারাপ বাড়ির, আর উনি একা ধোয়া তুলসী পাতা।'
তবে এটা তো প্রথম নয় যেখানে শাশুড়ি বৌমার ঝগড়া, বিবাদ দেখানো হচ্ছে। প্রথমদিকে কিন্তু এই ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের প্রধান উত্তেজনার কারণ ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ই। এত বছর তাঁকে পর্দায় দেখতে চেয়েছিলেন সকলেই। বলা ভালো সকলে মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন এমন মন্তব্য তো অন্য কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এর আগে মেয়েবেলায় তাঁর চরিত্র নিয়ে আনন্দবাজারকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'আমার একটাই শর্ত ছিল। গল্প বাস্তবসম্মত হতে হবে। অতিরঞ্জিত কিছু দেখানো যাবে না। পর্দায় ক্যাটক্যাটে বেগুনি রং থাকবে না। আমি যেহেতু রিনা দি (অপর্ণা সেন), ঋতুপর্ণ ঘোষ, প্রমুখের সঙ্গে কাজ করেছি সেহেতু যাতে বাস্তবসম্মত লাগে আমার চরিত্রটা সেটার চেষ্টা করেছি।'