রুবেল দাসের চোট পাওয়ার খবরে মন খারাপ তাঁর অনুরাগীদের। মন ভালো নেই প্রেমিকা শ্বেতা ভট্টাচার্যেরও। এই কঠিন সময়ে আগলে রাখার সবরকম চেষ্টা করে চলেছেন তিনি ভালোবাসার মানুষটাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে দিচ্ছেন রুবেলের নানা আপডেটও।
জি বাংলার নিম ফুলের মধু সিরিয়ালে একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুট চলাকালীন দু পায়েই চোট পান ‘সৃজন’ রুবেল। বাসের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ার একটি দৃশ্যের শ্যুটে হয় এই হাল। অবস্থা এমন হয় যে পড়ে গিয়ে আর উঠেও দাঁড়াতে পারছিলেন না রুবেল। যদিও সেই অবস্থাতেই আরও দুটো শট দেন। তারপর এক্স রে থেকে জানা যায়, দু-পায়ের গোড়ালি ভেঙেছে সৃজনের। হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসক স্পষ্ট জানান আগামী দেড় মাস সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। পায়ে ভর দিয়ে হাঁটা-চলা তো দূর অস্ত দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছেন না রুবেল।
ইতিমধ্যেই একদিন ঘরে বসে শ্যুটিং করেছেন। এবার শ্বেতার সাজামিক মাধ্যমে উঠে এল রুবেলের শরীরচর্চা করার ছবি। শরীরচর্চায় খুব মন থাকে নায়ক-নায়িকাদের। তাই খাটে বসে বসেই চলল তা। এক্ষেত্রে ডাম্বেলের অভাবে নিজের ভাগ্নাকেই মাথায় তুলে নিলেন অভিনেতা। সে ছবি শেয়ার করলেন শ্বেতা। পরের দুটিতে তাঁকে আগলে রাখতে দেখা গেল রুবেলকে।
শ্বেতা লিখলেন, ‘বাড়ি বসে শুটিং চলছে, ব্যায়াম তো আর বাড়ি বসে হচ্ছে না,,,, কিন্তু একেবারে শরীর চৰ্চা ছেড়ে দিলেও তো মুশকিল, তাই একটা উপায়ে বের করা হল, ডাম্বেলের জায়গায় ইউজ করা হলো ভাগ্নাকে। ব্যাস শরীর চৰ্চা শেষ, মনটাও ফুরফুরে।’
তবে শ্বেতার এই কমেন্টের তলায় রুবেল লিখলেন, ‘তবে এই সমর্থন, মানসিক শান্তি, ইতিবাচক অনুভূতি তোমার সঙ্গেই আসে। যা শরীরচর্চার থেকে অনেক বেশি বড়।’ জবাবে শ্বেতা লিখলেন, ‘তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো। অনেক রিলস বানাব একসঙ্গে তারপর।’ আর তাতে রুবেলের জবাব, ‘হ্যাঁ বেবি।’ অর্থাৎ এই খারাপ সময়ে একে-অপরকে আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরেছেন।
শ্বেতা-রুবেলকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল যমুনা ঢাকি-তে। যদিও তখন দুজনেই ছিলেন আলাদা আলাদা সম্পর্কে। তবে এই সিরিয়াল চলাকালীনই তাঁদের দুজনেরই ব্রেকআপ হয়ে যায়। তারপর কাছাকাছি আসতে থাকে দুটো ভাঙা মন। জানা যায়, শ্বেতা আর রুবেলের পরিবারও এই সম্পর্কে অনুঘটকের কাজ করেছিল। দুই পরিবারেরই খুব পছন্দ হবু বউমা আর জামাইকে। তাই শুধু রুবেল নয়, রুবেলের পরিবারের সকলেরও মনের রানি এখন শ্বেতাই।