দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে, কান্নাভেজায় গলায় কাতর আর্জি জানাচ্ছেন ঘরবন্দি রুদ্রনীল ঘোষ। সোমবার ফেবসুকে এমনই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেতা। যেখানে বারবার রুদ্রনীলকে বলতে শোনা গেল, 'এদের কথা একটু ভাবুন'। করোনাভাইরাসের জন্য যখন দেশজুড়ে লকডাউন। তখন এদের কথাও ভাবা দরকার বলে মনে করেন এরা। কারণ তাঁরাও নাগরিক। তাদের কষ্ট কেউ বুঝতে পারছে না। কিন্তু তাঁরা কারা? দীর্ঘ সাড়ে তিন মিনিট রুদ্রনীলের এই কান্নাকাটি শোনার পর আপনিও ভিরমি খেতে পারেন যে আদতে কাদের কথা বলছেন রুদ্রনীল। অবশেষে অভিনেতা সেই রহস্য ফাঁস করে জানান- এঁরা হল সেই সব মানুষজন মানে পাবলিক যারা চার ঘন্টার বেশি বাড়িতে থাকে না, পাশাপাশি সেই সব রূপসীদের যারা মেক-আপ আর পার্লার ছাড়া কিছুই বোঝে না। সেই সব পার্টি প্রিয় মানুষজন যারা সারাদিন সেলফি তুলতে ভালোবাসেন তাদের কথা ভেবেই এই কান্না রুদ্রনীলের।
আসলে পার্টি প্রিয় মানুষদের ট্রোল করতেই এই ভিডিয়োটি বানান রুদ্রনীল। অনেকেই এই ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিয়োটি পছন্দ করেছেন, কিন্তু না-পসন্দ করা লোকের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সেখানে এই ধরণের ট্রোলিং অনেকের কাছেই ভাঁড়ামো মনে হয়েছে। যদিও মুহূর্তেই এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। শেষমেষ ভিডিয়োটি নিজের ফেসবুকের দেওয়াল থেকে ডিলিট করে দেন রুদ্রনীল।
রুদ্রনীলের এই ভিডিয়ো শেয়ার করে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখেছিলেন, 'রুদ্র এইসব কেটে গেলেও তুই বাইরে বার হস না, গণধোলাই খাবি'।
আবার নাম না করেই সোমবার পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন, 'ভালো স্ক্রিপ্ট ছাড়া অভিনেতা এক বিরাট শূন্য, বুদ্ধিদীপ্ত ডায়ালগ ছাড়া এক অভিনেতা হাস্যকর ভাঁড়, সংবেদনশীল বিষয় ছাড়া এক অভিনেতা ঘিনঘিনে নোংরা অমানুষ। আবার প্রমাণিত'। অনেকেই মনে করছেন রুদ্রনীলের উদ্দেশেই একথা লিখেছেন পরিচালক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করতে গিয়ে নিজেই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েন রুদ্রনীল। বিতর্ক এড়াতেই বোধহয় ফেসবুক থেকে ভিডিয়োটি ডিলিট করে দেন রুদ্রনীল ঘোষ। তবে ফেসবুকে নানান ফ্যানপেজ এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই আপলোড হয়েছে এই ভাইরাল ভিডিয়ো।