১২ জুলাই সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট। বিয়ের পরদিন ১৩ তারিখ ছিল শুভ আশীর্বাদ অনুষ্ঠান। এরপর ১৪ জুলাই ছিল অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের রিসেপশন (মঙ্গল উৎসব)। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন তারকারা। রিসেপশন পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য টলিপাড়া থেকেও আমন্ত্রিত ছিলেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। ওইদিন সোনালি গাউনে আম্বানিদের বিয়ের অনুষ্ঠানে নজর কাড়লেন রুক্মিণী।
শুধু আম্বানিদের 'মঙ্গল উৎসব'-এ গিয়ে উপস্থিত হওয়াই নয়, নব-দম্পতির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেও দেখা গেল অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রকে। সেই ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রুক্মিণী। ক্যাপশানে লেখেন, ‘প্রকৃত ভালোবাসা কখনোই অন্ধ হয় না, বরং চলার পথকে আরও আলোকিত করে। আর সেটাই আমরা সবাই প্রত্যক্ষ করেছি রাধিকা ও অনন্তের মধ্যে, তাঁদের মুখের হাসিতে। নব-দম্পতি অনন্ত-রাধিকার জন্য আবারও শুভকামনা, ভালোবাসা রইল।’ সবশেষে অনন্ত-রাধিকা, মুকেশ, নীতা, শ্লোকা আম্বানিদের ট্যাগ করে রুক্মিণী লেখেন, ‘ভালবাসা, অনুগ্রহ এবং দয়ার জন্য ঈশ্বর এই পরিবারকে আশীর্বাদ করুন!’
শুধু পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলাই নয়, অনন্ত-রাধিকার সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় রুক্মিণীকে। রাধিকাকে স্পর্শ করে কথা বলার সময় রুক্মিণীর কথায় হাসতেও দেখা গেল আম্বানিদের ছোট বউকে। তবে এদিন রুক্মিণীর পাশে প্রিয় দেবদা-কে দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়েছেন কিছু অনুরাগী। তবে রুক্মিণীর এই পোস্ট ঘিরে নেটিজেনদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, 'অনন্ত-রাধিকা কি আদৌ রুক্মিণী মৈত্রকে চেনেন?', কারোর মন্তব্য, ‘অনন্তের ভাবখানা এমন, যেন তাঁর মনে প্রশ্ন কে ইনি!’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘দেবদা কোথায়?’
তবে শুধু রুক্মিণী নন, এদিন আম্বানিদের বিয়ের রিসেপশনে উপস্থিত ছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, যশ-নুসরত, রিয়া ও রাইমা সেন। জানা গিয়েছে আমন্ত্রণ থাকলেও যেতে পারেননি টোটা রায় চৌধুরী ও সন্দীপ্তা সেন। তবে এদিন যশ-নুসরত ছাড়া কাউকেই আম্বানি পরিবারের নব-দম্পতির সঙ্গে আলাদা করে ছবি তুলতে অবশ্য দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, অনন্ত-রাধিকার মঙ্গল উৎসবে খাঁটি বাঙালি সাজে হাজির হন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ‘কল্কি এডি ২৮৯৭’ ছবিতে অভিনয় করে চর্চায় রয়েছেন অপুদা (শাশ্বত)। দীপিকার সহ-অভিনেতা এদিন সেজেছিলেন অভিষেক রায়ের নকশাকাটা পোশাকে। এদিকে কথা মতোই মায়ের শাড়িতে বিয়েবাড়িতে হাজির হন রাইমা। রিয়া পরেছিলেন গুজরাটি কাজের লেহেঙ্গা। রয়্যাল পরিবারের দুই কন্যেই এই বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন। তাঁত বেনারসিতে বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরলেন রাইমা। সঙ্গে পরেছিলেন গলাবন্ধ নেকপিস। পোশাকের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই মেকআপ করেছিলেন রাইমা। ভগ্নিপতি শিবম তিওয়ারি ও বোনের সঙ্গে হাসিমুখে পোজ দেন রাইমা সেন।
অন্যদিকে সোনালি ঝলমলে লেহেঙ্গায় সেজেছিলেন বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদ নুসরত জাহান। যশের দেখা মিলেছিল ঘন নীল শেরওয়ানিতে।