কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান। চুটিয়ে প্রচার করেছেন রুক্মিণী মৈত্র এই ছবির জন্য। বারবার আবেগঘন হয়ে পড়েছেন এই ছবিটি নিয়ে। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিসে যখন ভালো সাড়া পেতে শুরু করল ছবিটি তখনই অসুস্থ হয়ে পড়লেন অভিনেত্রী। কী হয়েছে রুক্মিণী মৈত্রর?
আরও পড়ুন: শাহরুখের ছেলের হাসিতে কুপোকাত নেটপাড়া! মুগ্ধ আরিয়ানের অভিনয়ে, বলছে, ‘পরিচালনা নয়, সিনেমায়…’
আরও পড়ুন: '২০১০ থেকে উনি যা হেঁচকি তুলছেন...', ক্রিস্টোফার নোলানকে নিয়ে হঠাৎ এমন কেন বললেন সৃজিত?
কী ঘটেছে?
এদিন রুক্মিণী মৈত্র তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি লেখেন, '১০২ জ্বরে আক্রান্ত গতকাল থেকে। কিন্তু আমার মনের জোর এখনও অদম্য।' তিনি এদিন আরও লেখেন, 'রুক্মিণীর ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু বিনোদিনীর সঙ্গে দেখা করে আসুন আপনার কাছের সিনেম হলে।'
প্রসঙ্গত বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান ছবিটির শ্যুটিং শুরুর আগেও বিপত্তি হয়েছিল। পা ভেঙেছিলেন অভিনেত্রী। ছিলেন গৃহ বন্দি। কিন্তু তাও তিনি দমে যাননি। ভাঙা পা নিয়েই নাচের তালিম নিয়েছেন।

বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান প্রসঙ্গে
এই ছবিতে নাম ভূমিকায় আছেন রুক্মিণী মৈত্র। গুরমুখ রাইয়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে মীর আফসার আলিকে। কুমারের চরিত্রে আছেন ওম সাহানি। গিরিশ চন্দ্র ঘোষ হিসেবে ধরা দিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। এবং রাঙা বাবু হিসেবে আছেন রাহুল বসু। রামকৃষ্ণদেব হিসেবে আছেন চন্দন রায় সান্যাল। ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান। ছবিটির পরিচালনা করেছেন রাম কমল মুখোপাধ্যায়। ছবির প্রযোজনার দায়িত্ব সামলেছে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স লিমিটেড।
এই ছবিটি কতটা কাছের তাঁর, কতটা আবেগ জড়িয়ে আছে সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রুক্মিণী বলেন, 'আমি একটা অস্কার স্পিচ তৈরি করে ফেলেছিলাম। গত ৫ বছর ধরে যখনই আমায় বলা হয়েছে যে আমরা প্রযোজক পেয়ে গেছি এবার ছবিটা হবে, ততবার আমি ওই স্পিচটা তৈরি করেছি। আমার একটা ভাবনা ছিল ছবিটা। আমি আর রাম মাঝেমধ্যেই কথা বলতাম যে আমরা কীভাবে ছবিটা বানাব, কী কী করব সবটা নিয়ে। আর প্রতিবার আমার মাথায় একটা গোটা স্পিচ তৈরি করতাম যে যেদিন এই ছবির ট্রেলার বেরোবে সেদিন আমি কী বলব। এই ছবির জার্নি, ছবির বিষয়ে, আমি নিজে অভিনেত্রী হিসেবে কতটা বদলেছি নিজেকে, এই ছবি আমাকে কতটা সমৃদ্ধ করেছে, এই চরিত্র সবটা নিয়ে কথা বলব বলে ঠিক করে রেখেছিলাম। আমার একটা অস্কার স্পিচ তৈরি ছিল। এমনকি গোল্ডেন গ্লোবসও। সব তৈরি ছিল। আমি বাড়িতে রীতিমত প্র্যাকটিস করতাম আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, বাথরুমে গিয়ে। আমি জানি না আমার কী হল, আমার মাথায় এত কিছু চলছিল যে আমি বাচ্চার মতো কেঁদেই ফেললাম। ওই মুহূর্তটা এতটাই ব্যক্তিগত ছিল যে আমি আবেগ সামলাতে পারিনি।'