টলিউডে বেশ কিছু হিট দিয়েছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। তবে বিশেষত, দেবের নায়িকা বা বান্ধবী হিসেবেই তাঁর বেশি পরিচিতি। এমনকী, যে কটি সিনেমায় কাজ করেছেন, তার মধ্যে বেশিরভাগই দেবের বিপরীতে। এর আগে আবিরের সঙ্গে রুক্মিণীকে দেখা যায় সুইজারল্যান্ড সিনেমাতে। আর এবার জিতের সঙ্গে থাকছেন ব্যুমেরাং-এ।
শৌভিক কুণ্ডু পরিচালিত এই সিনেমাতে রুক্মিণীকে দেখা যাবে ন্যাড়া মাথায়। এমনিতেই সিনেমার নায়িকাদের প্রতি দর্শকদের টান তৈরি হয় মসৃণ চকচকে ত্বক, স্টাইলিশ অবতার, একঢাল চুলের কারণে। সেখানে ন্যাড়া মাথায় পর্দায় আসা নিসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: রাহা মাত্র দেড় বছরের, দীপাবলিতে বদলে যাবে রণবীর-আলিয়ার মেয়ের জীবন, কীভাবে?
রুক্মিণী জানালেন, ন্যাড়া মাথার ব্যাপারটা আগে ছিল না চিত্রনাট্যে। তাঁকে বলাও হয়নি কিছু। তবে শ্যুটের মাঝেই একদিন শৌভিকের কাছ থেকে এই প্রস্তাবটা আসে। যা হতচকিত করে দিয়েছিল অভিনেত্রীকে। আনন্দ প্লাসকে রুক্মিণী জানান, ‘একদিন শৌভিক এসে আমাকে এই প্রস্তাবটা দিল। আমি শুনে অবাক হয়ে পালটা প্রশ্ন করলাম, ‘মেইনস্ট্রিম নায়িকাকে তোমরা ন্যাড়া দেখাবে? এটা আদৌ থাকবে সিনেমায়?’ আমি বরাবরই, আউট অফ দ্য বক্স কিছু করতে ভালোবাসি। তাই তখনই রাজি হয়ে যাই।’
আরও পড়ুন: ডিভোর্সের পরও ‘চিপকে থাকেন’ প্রাক্তন বরের সঙ্গে! কিরণের দাবি, ‘পরিবারের চাপেই আমি আর আমির…’
রুক্মিণীর কেরিয়ারের বড় চমক হতে চলেছে এই ছবি। প্রথমবার দ্বৈত চরিত্রে কাজ করতে চলেছেন তিনি। ব্যুমেরায়-এ তাঁর একটি চরিত্র সাধারণ মেয়ের, অন্যটি এক রোবটের। আর এই রোবটের চরিত্রের জন্যই ন্যাড়া মাথা। মেকআপ নিতে প্রত্যেকদিন ৩ ঘণ্টা সময় লেগে যেত। তবে টাক মাথা কোনওভাবেই প্রভাব ফেলতে পারেনি রুক্মিণীর আত্মবিশ্বাসে। দেব-বান্ধবী জানালেন, ‘নিজেকে তো বিদেশি সুপার মডেল লাগছিল। কত যে ছবি তুলিয়েছি সেদিন।’
আরও পড়ুন: রেগে গেলে বাবাকেও ছাড়েন না সলমন খান? সেলিম জানান, ‘মদ্যপানের পর তো…’
নিজেকে ভেঙেগড়ে নেওয়ার জার্নি অবশ্য রুক্মিণী শুরু করে দিয়েছেন কয়েকবছর আগে থেকেই। তাঁকে ভবিষ্যতে দেখা যাবে নটী বিনোদিনী আর দ্রৌপদী হিসেবে। দুটি ছবিরই পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়। খুব সম্ভবত জুন-জুলাইয়ের পর মুুক্তি পাবে ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুক্মিণী জানিয়েছিলেন, তিনি সেই সিনেমার জন্য বিরজু মহারাজের শিষ্য সৌভিক চক্রবর্তীর কাছে কত্থক শিখেছিলেন। এছাড়াও তাঁর ক্লাসিক্যাল ডান্সের গুরুজি ছিলেন নৃত্যশিল্পী মনীষা বসু। শুধু তাই নয়, বিনোদিনী হয়ে উঠতে অন্য সব পোশাক ছেড়ে সেই মুহূর্তে শুধু শাড়ি পরছিলেন রুক্মিণী। এছাড়াও পুজোতে মুক্তি পাওয়ার কথা আছে সৃজিতের পরিচালনায় টেক্কা। সেখানেও অবশ্য তিনি দেবের বিপরীতেই।