২০২৩-এ সামনে আসে রুক্মিণী মৈত্র-র 'নটী বিনোদিনী' হওয়ার খবর। তবে সেসময় রুক্মিণীর বিনোদিনী হওয়া নিয়ে কিছু কম চর্চা হয়নি। অনেকেই তাঁর বিনোদিনী হওয়া নিয়ে কটাক্ষও করেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন সাংসদ দেবের প্রেমিকা বলেই নাকি তিনি সহজেই এই সুযোগ পেয়েছেন। এটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র জলঘোলাও হয়। তবে বিনোদিনী হয়ে উঠতে অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র কিছু কম পরিশ্রম করেননি। সুদীপ্তা চক্রবর্তীর কাছে আলাদা করে অভিনয়ের ক্লাস করেছেন, নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, শাড়ি পরা অনুশীলন করেছেন, আরও অনেক কিছুই।
তবে ২০২৩, ২০২৪ পার করে ২০২৫ এ মুক্তি পেতে চলেছে রামকমল মুখোপাধ্যায়ের ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’ ছবিটি। ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি। তবে তার আগে সামনে এল ছবির প্রথম গান ‘কানহা’। যেটি কিনা গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল। আর এর মিউজিক করেছেন সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ। আর তাতেই রাজকীয় বেশে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। হঠাৎ করে গানের কোরিওগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি দেখলে অনেকে এটা সঞ্জয়লীলা বনশালির ছবি, বিশেষত 'দেবদাস' ভেবেও ভুল করে বসতেও পারেন। আর লাল ব্লাউজ ও সাদা লেহেঙ্গায় সেজে বিনোদিনী দাসীর বেশে রুক্মিণী যেভাবে নৃত্যকলা পরিবেশন করলেন তাতে মুগ্ধ হতে হয় বৈকি। এই গানের ভিডিয়ো সামনে আসতেই নেটপাড়ায় অনেকেই লিখেছেন, ‘রুক্মিণী বেশ বোঝালেন তিনি বিনোদিনী-র জন্য যোগ্য’।
আরও পড়ুন-পায়ে কালশিটে, ঘুঙুরে কত যে পাজামা ছিঁড়েছে, কিন্তু আমি এখন বিনোদিনী : রুক্মিণী
এদিকে ৮ জানুয়ারি, বুধবার, 'কানহা' মিউজিক লঞ্চে কানহা গানের সঙ্গে লাইভ পারফর্ম করেন রুক্মিণী মৈত্র।
প্রসঙ্গত পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালনায় তৈরি ‘বিনোদিনী- একটি নটীর উপাখ্যান’ হল একটা পিরিয়ড ড্রামা। রামকমলের আগে সেই দীনেন গুপ্ত, তারপর এই মাঝামাঝি সময়ে ‘নটী বিনোদিনী’কে নিয়ে টলিউডের পর্দায় সেভাবে কেউ কাজ করেননি। তবে ৩ দশক পরে এবার রামকমল সেই কাজটাই করে দেখাতে চলেছেন তাও আবার রাজকীয়ভাবে। এই ছবিতে বিনোদিনীর বঞ্চনার অধ্যায় থেকে তাঁর জীবনকাহিনীর অনেক অংশই সিনেম্যাটিক কায়দায় দর্শকদের কাছে তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক।
এর আগে বিনোদিনীর প্রস্তুতি নিয়ে Hindustan Times Bangla-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুক্মিণী মৈত্র জানিয়েছিলেন, ‘সকাল ৯-১১ টা পর্যন্ত আমার এখন বিভিন্ন রকম প্রস্তুতি চলে। প্রথমে পায়ের এক্সারসাইজ, তারপর সুদীপ্তা দি-র কাছে অ্যাক্টিং ওয়ার্কশপ ৩-৪ ঘণ্টার, নাচের রিহার্সাল, পুরো দিনটাই এখন আমার বিনোদিনীর।’ বিনোদিনীর জন্য আলাদা করে নাচও শিখেছিলেন অভিনেত্রী। সেসময় সেকথা জানিয়ে আমাদের তাই বলেছিলেন, ‘রোজ ৩-৪ ঘণ্টা নাচের মহড়া চলে। বিরজু মহারাজের শিষ্য সৌভিক চক্রবর্তীর কাছে আমি কত্থক শিখছি। এছাড়াও এই মুহূর্তে আমার ক্লাসিক্যাল ডান্সের গুরুজি হলেন মনীষা বসু। এরপরে কোরিওগ্রাফার টিমের সঙ্গেও অনুশীলন করব। নাচতে নাচতে পায়ে এখন কালসিটে তে ভর্তি, ঘুঙুর পরে নাচতে গিয়ে কত যে পাজামা ছিঁড়েছে, তা আর কীই বা বলব… । ম্যাম একটা এর ছবিও তুলেছেন, পোস্ট করব (হাসি)। তবে এই কষ্টের মধ্যে দিয়েই আমি কিছু অর্জন করতে চাই। এটাই তো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবন…।’