ফের বড়পর্দায় জুটি বাঁধছেন দেব এবং রুক্মিণী। ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য ছবিতে তাঁদের একত্রে দেখা যাবে। দেব যে বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার প্রকাশ্যে এল সত্যবতীর চরিত্রে থাকবেন রুক্মিণী।
সদ্যই বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। রীতিমত সুদীপ্তা চক্রবর্তীর থেকে তালিম নেওয়ার পর তিনি এই ছবির শ্যুটিং শুরু করেছিলেন। সেই ছবির কাজ শেষ হতে না হতেই প্রকাশ্যে এল তাঁর নতুন কাজের খবর।
ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য ছবির শুভ মহরত অনুষ্ঠিত হল সদ্যই। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী। শ্যুটিং শুরু হল এই ছবির। এবার তাঁকে এখানে এক বুদ্ধিমতী বাঙালি গৃহবধূর চরিত্রে দেখা যাবে, যিনি কিনা সত্যান্বেষীর যোগ্য সহধর্মিণী ছিলেন।
এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নায়িকা জানালেন বিনোদিনীর পরই সত্যবতীর চরিত্র করাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং। অভিনেত্রীর কথায়, 'কেবল বিনোদিনী নয়, আমার কাছে যে চরিত্র আসুক না কেন আমি সেটাতে নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করি। বিনোদিনীতে যেমন প্রাণ ঢেলে অভিনয় করেছি সত্যবতীর চরিত্রর জন্যেও তেমন করব।' সত্যবতী চরিত্র নিয়ে অভিনেত্রীর মত কী? তাঁর কথায়, ' সবাই বলছেন সত্যবতী একজন বাঙালি গৃহবধূ। তবে আমায় যে আকর্ষিত করেছে সেটা কিন্তু ওঁর বুদ্ধিমত্তা। এই গল্পের প্রেক্ষাপট যে সময়কার সেই সময়ে কিন্তু আমাদের দিদা ঠাকুমাদের মধ্যে হয়তো একজন করে সত্যবতী লুকিয়ে থাকতেন। তাঁরাই পুরুষদের সঠিক দিশা দেখাতেন। হয়তো তাঁদের কৃতিত্ব প্রকাশ্যে আসত না।'
নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন অভিনেত্রী এই ছবির জন্য? তাঁর কথায়, 'ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য ছবিতে আমার চরিত্রের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল এটার লুক। এখানে আমায় অন্তঃসত্ত্বা দেখানো হবে। এর আগেও আমি চ্যাম্প ছবিতে অন্তঃসত্ত্বার চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু এটা সেই তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এই চরিত্রের জন্য আমি এখন দামিনী বসু বেণীদির সঙ্গে ওয়ার্কশপ করছি।'
কলকাতা এবং তাঁর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এই ছবির শ্যুটিং হবে। যেতে হবে মধ্যপ্রদেশে। রুক্মিণী জানিয়েছেন তাঁদের লুক সেট হয়ে গিয়েছে এই ছবির জন্য।
আবার দেবের সঙ্গে কাজ। কোন রসায়ন দেখবে সকলে তাঁদের মধ্যে? অভিনেত্রীর কথায় 'আমি এখনও পর্যন্ত অনেক অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু সব থেকে সিরিয়াস হয়ে, গম্ভীর ভাবে কাজ করেছি দেবের সঙ্গেই। আমার সব সময় ভয় হয় ও কখন বকবে। তাই ক্যামেরা অফ হওয়ার পরেও আমরা আমাদের চরিত্রের মধ্যে থাকি। আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক যাই হোক, সেটা আমরা সেটে আনি না। এই ছবিতে যেহেতু ব্যোমকেশ সত্যবতীর দাম্পত্য জীবনের অনেক দিন কেটে গিয়েছে এমন সময় দেখানো হবে সেহেতু ওদের মধ্যে একটা নির্ভরশীলতা দেখাতে হবে। থাকবে বন্ধুত্বও। কিন্তু আমার আর দেবের বাস্তব জীবনের রসায়ন পর্দার রসায়ন গড়ে তুলতে সাহায্য করেনি। ক্যামেরার সামনে আমরা দুজন আলাদা মানুষ হয়ে যাই।'