চল্লিশের গণ্ডি পার করেও ‘ব্য়াচেলার’ টলিপাড়ার হার্টথ্রব নায়ক দেব। যদিও রিয়েল লাইফে দেবের ‘দেবী’কে সকলেই চেনেন! রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে তাঁর প্রেম খুল্লমখুল্লা। কিন্তু ছাদনা তলায় কবে বসবেন দুজনে? এই উত্তর অধরা সবার কাছেই। সদ্যই ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’ -এর শ্যুটিং শেষ করেছেন রুক্মিণী। অন্যদিকে ‘বাঘাযতীন’-এর শ্যুটিং প্রায় শেষ করে ফেলেছেন দেব। কাজ থেকে ফুরসৎ মিলতেই জুটিতে উড়ে গিয়েছিলেন মলদ্বীপ।
এই দ্বীপ রাষ্ট্র এখন বলিউড নয়, টলি তারকাদেরও পছন্দের ডেস্টিনেশন। এই প্রথম নয়, আগেও বহুবার রুক্মিণীর হাত ধরে বিদেশে ঘুরতে গিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ। মলদ্বীপও গিয়েছেন বেশ কয়েকবার। আকারে-ইঙ্গিতে একসঙ্গে থাকার কথা বুঝিয়ে দিলেও প্রকাশ্যে কোনওদিন একফ্রেমে ধরা দেননি ছুটিতে গিয়ে। তবে এবার সেই প্রথা ভাঙলেন রুক্মিণী। শনিবার মলদ্বীপ থেকে দেবের সঙ্গে ছবি পোস্ট করলেন ‘চ্যাম্প’ নায়িকা।
পড়ন্ত সূর্যের ‘মিঠে আলো’ গায়ে মেখে দেবের হাত ধরে সেতু পার করছেন রুক্মিণী। প্রিয়তমার উপর থেকে চোখ সরছে না দেবের, রুক্মিণীও একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছেন দেবের দিকে। সঙ্গে রইল বিশেষ প্রতিশ্রুতি। ছবির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আনটিল নেক্সট টাইম..'। অর্থাৎ আবার আসর, ততদিনের জন্য এই স্মৃতিটুকু থাক। তবে শুধুই কি মলদ্বীপে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি, নাকি এইভাবেই মনের মানুষের হাতটা শক্ত করে ধরে থাকার প্রতিশ্রুতি!
দেব আর রুক্মিণীর ওই হাত ধরে থাকা ছবির কমেন্ট সেকশনে মন্তব্যের ঝড়। একজন লিখেছেন, ‘ফাইনালি তোমরা একসঙ্গে ছবি দিলে। জাস্ট অসাধারণ’! আরেকজন লিখলেন, ‘দেবের দেবী’। তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘কালো টিকা দিলাম। কারও নজর না লাগে’। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ল রুক্মিণীর মা, মধুমিতা মৈত্রের মন্তব্য। তিনি লিখেছেন, ‘এইভাবেই আশীর্বাদধন্য হয়ে থেকো’।
আরও পড়ুন- মলদ্বীপে দেবের সঙ্গে জুটিতে প্রথম ছবি শেয়ার রুক্মিণীর, আর এক বিশেষ প্রতিশ্রুতি
দেব-রুক্মিণীর সম্পর্কে শুরু থেকেই শিলমোহর রয়েছে দুই পরিবারের। কাজের ব্যস্ততা সামলে নতুন জীবনের পথে কবে পা বাড়াচ্ছেন জুটি? সেই প্রশ্নের উত্তর তো বাংলা ছবির ভক্তরা অবশ্যই জানতে চায়। বিয়ে প্রসঙ্গে এর আগে দেব জানিয়েছেন, 'এখন তো বিয়ে হওয়ার চেয়ে ভাঙছে বেশি! এই সময় ভাল থাকা, সুস্থ সম্পর্ক থাকাই আসল। আমি আর রুক্মিণী ভাল আছি'। এখন দেখবার কবে কাঙ্খিত পরিণতি পায় দেব-রুক্মিণীর প্রেম!