বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছে যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী ভার্মার বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে। সম্প্রতি একটি গুজব রটে যায় যে এই ভারতীয় ক্রিকেটার নাকি তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্সের পর খোরপোষ হিসেবে ৬০ কোটি টাকা দেবেন। আর তারপরই হইচই পড়ে গিয়েছে। এদিন এই খবর শোনার পর একজন জনপ্রিয় পুরুষদের অধিকারের জন্য লড়া সমাজসেবী এই গোটা ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। বুদ্ধি দিয়েছেন যুজিকে।
আরও পড়ুন: ভাষা দিবসে প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা শোভনের, নতুন সাজে কোন চমক নিয়ে আসছে আমি বাংলায় গান গাই?
আরও পড়ুন: প্রথমবার একসঙ্গে প্লেব্যাক করলেন সিধু-রূপম! কোন ছবিতে শোনা যাবে সেই গান?
কী ঘটেছে?
দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজ নামক এই পুরুষদের অধিকারের জন্য লড়া সমাজসেবী এদিন এক্স হ্যান্ডেল অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে যুজবেন্দ্র চাহালকে মেনসন করে লেখেন যে এই ভুল যেন তিনি না করেন। বিয়ে টেকেনি মানে সেটা অপরাধ নয় যে এত বড় শাস্তি পোহাতে হবে, নিজের কষ্ট করে অর্জিত টাকা খোরপোষ হিসেবে দেবেন।
এই পুরুষদের অধিকারের জন্য লড়া সমাজসেবী তাঁর পোস্টে লেখেন, 'হাই যুজবেন্দ্র চাহাল। আমি জানি না যে গুজব রটেছে সেটা সঠিক কিনা যে আপনি আপনার বিচ্ছিন্না স্ত্রীকে ৬০ কোটি টাকা দিচ্ছেন। খালি একটাই অনুরোধ করব আপনি যদি মাঠে একজন ফাইটার হন, মাঠের বাইরেও তাই হন। আপনাকে যদি এই এত অল্প দিনের বিয়ের জন্য এতটুকু, সামান্যতম হুমকি দেওয়া হয় এই কোটি টাকা দেওয়ার জন্য তাহলে দয়া করে হাল ছেড়ে দেবেন না। আপনি কষ্ট করে, কঠিন পরিশ্রম যে টাকা অর্জন করেছেন সেটাই শুধু বাঁচাবেন সেটা নয়, আপনি একটা উদাহরণ তৈরি করবেন সেই সমস্ত পুরুষের কাছে যাঁদের খোরপোষ এবং মহিলাদের অধিকারের নামে ঘাড় মটকানো হয়।'
তিনি এদিন আরও লেখেন, 'এটা খালি একটা সম্পর্কে মানিয়ে নেওয়া, না নেওয়ার ব্যাপার। এটা আপনার দোষ না যে আপনাকে নিজেকে শাস্তি দিতে হবে। আপনি আবার টাকা হয়তো উপার্জন করে নেবেন কিন্তু কখনও এটা ভেবে সুখী হবেন কি একটা মানুষ যে আপনার সঙ্গে খালি দুই বছর থেকেছিল সে এতগুলো টাকা নিয়ে চলে গেল। উনি তো ভালোই উপার্জন করেন, নিজের উপার্জিত টাকায় ভালো ভাবেই বাঁচতে পারবেন তাহলে তাঁর খোরপোষ কেন দরকার?'
আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় গ্র্যান্ড ফিনালে, অঙ্কনার গানে অখুশি শান্তনু! বললেন, 'চেয়ারে মনোযোগ দিস না, গানটা...'
ধনশ্রী ভার্মা এবং যুজবেন্দ্র চাহালের সম্পর্ক
২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর গুরগাঁওয়ে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ধনশ্রী ভার্মা ও যুজবেন্দ্র চাহাল। সেই বছরেরই অগস্ট মাসে দুজনে বাগদান সারেন। তবে বিয়ের চার বছর কাটতে না কাটতেই, সংসারে ধরে ভাঙন। ধনশ্রী পেশায় একজন দাঁতের ডাক্তার এবং কোরিওগ্রাফার, তিনি ঝলক দিখলা জা-তে অংশ নিয়েছিলেন।