কেরিয়ারের বয়স প্রায় ১৫ বছর। ধারাবাহিক থেকে বড় পর্দা— সব ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণ তাঁর। রাজনীতির ময়দানও অচেনা নয়। এ হেন রূপা ভট্টাচার্যের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস। অতীতে দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে জীবনের সেই অধ্যায়ের কথাই তুলে ধরেছিলেন অভিনেত্রী।
শৈশব থেকেই লিঙ্গবৈষ্যমের শিকার। স্কুল-কলেজ বা ইন্ডাস্ট্রিতে নয়, নিজেরই বাড়িতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন রূপা। তাঁর কথায়, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি খুব কুণ্ঠিত থাকতাম। কারণ বুঝতে পারতাম, আমার পরিবারের কাছে আমি একটি বোঝা। আমার ছোটবেলায় খাদ্য হিসেবে বরাদ্দ ছিল দাদা খেয়ে যাওয়ার পর বাকিটা।’
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মাকেও পাশে পাননি রূপা। খুব অল্প বয়সেই বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাঁকে। তিনি বলেন, 'আমার যখন ১০ বছর বয়স, বাড়ি থেকে তখন আমার সম্বন্ধ দেখা শুরু হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে ঠিক করে বাড়ি থেকে বোঝাটাকে দূরে সরানো যায়!'
জি বাংলায় সঞ্চালিকা হিসেবে প্রথম কাজের সুযোগ পান রূপা। মাত্র দেড় হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে। একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। একটু একটু করে গুছিয়ে নেন নিজেকে। পরবর্তীতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাঁদের দিক থেকে সে ভাবে সাড়া পাননি রূপা।
২০০৬ সালে 'রাত ভোর বৃষ্টি'-তে অভিনয় করেন রূপা। এ ছাড়াও 'মহাতীর্থ কালীঘাট', 'জয় বাবা লোকনাথ'-এর মতো ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রভাত রায় পরিচালিত 'শুভ দৃষ্টি' ছবিতে কোয়েল মল্লিকের দিদির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রূপা। প্রশংসিতও হয়েছিলেন।