নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়। না, এবার নেপথ্যে বাইরের কেউ নেই। বরং আছে তাঁর ঘরের সদস্যই। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে তাঁর সৎ মেয়ে এষা ভার্মার করা ৪ বছর আগের একটি পোস্ট। সেখানে তিনি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন। এত বছর পরেই তিনি তাঁর সেই কথাতে আটকে আছেন! কী জানালেন?
আরও পড়ুন: 'আমাদের গান নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু গাইতে দেওয়া হচ্ছে না', ভরা মঞ্চেই টাপাটিনি নিয়ে আক্ষেপ উপল-অনিন্দ্যর!
কী লিখেছিলেন তিনি ২০২০ সালে?
২০১৩ সালে আশ্বিন ভার্মার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রূপালি। তাঁদের একটি ছেলে আছে। অশ্বিনের দ্বিতীয় বিয়ে থেকে দুটি মেয়ে আছে। আর সেই ছোট মেয়ে এষা ২০২০ সালে তাঁর একটি পোস্টে রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান। সেখানে তিনি লেখেন, 'একেবারে দুর্বিষহ। কেউ কি রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়ের আসল গল্প জানেন? ওঁর সঙ্গে অশ্বিন কে ভার্মার গত ১২ বছর ধরে প্রেম। উনি তখন বিবাহিত, দুটো মেয়েও আছে। ওই নিষ্ঠুর মনের মহিলা সবসময়ই চেষ্টা করে গিয়েছে আমায় আর আমার বোনকে বাবার থেকে দূরে রাখতে। তিনি সবসময় মিডিয়ার কাছে বলেন না তিনি আমার বাবাকে বিয়ে করে সুখী, তাই এই কথাগুলো জানালাম। উনি রীতিমত আমার বাবাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। সাইকোপ্যাথ। আমি বাবাকে ফোন করলেই উনি চেঁচাতে থাকেন, আমায় আমার মাকে মারার হুমকি দেন। উনি অশ্বিনের পরিবারকে নষ্ট করেননি খালি, ভালোবাসার নামে তিনি যা পেতে চান সেটা করেছেন। রিয়া চক্রবর্তী সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে যেটা করেছে উনিও আমার বাবার সঙ্গে সেটাই করেন। বাবাকে কীসব ওষুধ খাওয়ান। ওঁর জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করেন।'
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এষা এই বিষয়ে সম্প্রতি জানিয়েছেন তিনি স্বজ্ঞানে সেই পোস্ট করেছিলেন। তিনি বলেন, 'আবার ওটা ভাইরাল হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। আবার প্রচারের আলোতে এল বিষয়টা। রূপালি কিন্তু তারপরেও একটু বদলায়নি। আমাদের মধ্যে সত্যিই কোনও সম্পর্ক নেই। উনি খালি আমার ভাইয়ের মা। ব্যাস।'
আরও পড়ুন: ৩ দিনেই বিশ্বজুড়ে ১৫০ কোটি আয় কার্তিকের ভুল ভুলাইয়া ৩ এর! এগিয়ে না পিছিয়ে আছে সিংঘম এগেন?
সম্প্রতি এষা আবার কী লিখলেন?
এই বিষয়ে এষা সম্প্রতি আরও একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ' যাঁদের যাচ্ছে আবার এই রিসেন্ট খবর গেছে, যাঁরা যোগাযোগ করেছেন, আমার দিকটা বোঝার চেষ্টা করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ। এমন ব্যক্তিগত কিছু ভাইরাল হতে দেখলে কেমন অবাস্তব লাগে। এটা কিন্তু কেবল হেডলাইন নয়। এটা আমার জীবন। আমার ছোটবেলা। যে কষ্ট আমি সেদিন পেয়েছি সেটা আজও অনুভূত হয়। আমি আগে যা বলেছি সেই কথাতেই আটকে রয়েছি। সেটাই আবার বলব। ৪ বছর আগে এটা নিয়ে মুখ খুলেছিলাম। এখন আমি বড় হয়েছি, ম্যাচিওর হয়েছি, অনেকটা সামলেছি নিজেকে। আমার বাবা আর তাঁর স্ত্রী এখনও হয়তো এই দাবিগুলোকে অস্বীকার করবেন। আমি আমার বাবাকে ভালোবাসলেও উনি যেভাবে আমাদের ওঁর জীবন দিয়ে বাদ দিয়েছেন সেটা সত্যিই কষ্টদায়ক। আর ওঁর স্ত্রীর এত উন্নতি, পাবলিক ইমেজ হয়ে ওঠা দেখা আরও কষ্টকর। আমি জানি এসব বলে আমি নিজেই নিজের রিস্ক বাড়াচ্ছি। কিন্তু কেউ যদি আমার কথা শোনেন সেটাই যথেষ্ট।'