অনুপমা খ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায় আজকাল নেতিবাচক কারণে খবরে রয়েছেন। রূপালির সৎ মেয়ে এশা বর্মা, যিনি অভিনেত্রীর স্বামী অশ্বিন ভার্মার দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। এশা-র দাবি, তাঁর বাবা আর মায়ের বিয়ে ভাঙার পিছনে ছিলেন অভিনেত্রী। আর এবার বললেন, বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।
টেলি টককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এশা বর্মা বলেন, তার বাবা অশ্বিন তাঁর মাকে দু'বার ডিভোর্স পেপার দিয়েছিলেন এবং তারপর কাউকে কিছু না জানিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিলেন। ইশা ও তাঁর পরিবার খবরের মাধ্যমেই জানতে পারে যে রূপালি এবং অশ্বিন বিয়ে করেছেন এবং তাঁদের একটি ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জিনিস ছিল একটা’, হঠাৎই অরিত্রের কোন গুণে মুগ্ধ কুণাল! জুড়লেন, ‘নজর কাড়ার ক্ষমতা…’
রূপালীর ছেলের বিষয়ে যা বললেন এশা
এশা বলেন, 'আমাদের কিছু জানানো হয়নি। উনি যখন ভারতে যান, তখন খুব অদ্ভুত লাগে এবং আপনার বাবা বলেন যে, তিনি আর আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চান না। এরপরই সামনে আসে রূপালিকে বিয়ের খবর ও ছেলে জন্মের খবর। তাঁরা সবাইকে বলে যে, প্রি ম্যাচিওর বাচ্চা হয়েছে। তবে একথা মিথ্যে। আমার কাছে জোরালো প্রমাণ আছে যে তিনি বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে করেন রূপালি ও অশ্বিন। সেই বছরেরই অগস্ট মাসে জন্ম হয় তাঁদের ছেলে রুদ্রাংশের।
আরও পড়ুন: টাকার নেই অভাব! গলার কোন গয়না সবচেয়ে প্রিয়, খোলসা করলেন রাজ-পত্নী শুভশ্রী
২০২০ সালের এশার করা একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। যেখানে এশা রূপালির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তার বাবা পরকীয়ার জেরে ত্যাগ করেন তাঁদের। তাঁকে, তাঁর মাকে ছেড়ে চলে যান। এখানেই শেষ নয়, এশার আরও দাবি যে, রূপালি তাঁকে প্রাণে মারারও হুমকি দেন।
আরও পড়ুন: ‘চান্দ মেরা দিল’…! আদরে মাখামাখি লক্ষ্য-অনন্যা, করণই জুড়ে দিল নতুন প্রেম কাহিনি
আরও যা অভিযোগ এনেছেন এশা নিজের বাবা ও সৎ মায়ের নামে:
এই মেয়ে আরও অভিযোগ আনেন যে, রূপালি তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছিলেন। এক সংবাদমাধ্যমকে এশা জানান, ‘আমার বাবা-মায়ের বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল এই মহিলা। মুম্বইয়ে আমার দাদা-দাদির বাড়িতে আমার মাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছিল। আমি এখানে শুধু রূপালিকে চিহ্নিত করছি না; আমিও বলার শক্তি সঞ্চয় করেছি যে, এটা আমার বাবার দোষ। প্রথমে যখন এই খবরটি ভাইরাল হয়, তখন আমি সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম; তিনি আমাকে পোস্টটি সরিয়ে নিতে বলেন।’