রূপস ইসলাম স্টেজে ওঠা মানেই যেন ঝড়। সশব্দ বিস্ফোরণ। তাঁর গান শুধু না, তাঁর স্টেজ থেকে বলা প্রতিটা কথাই বুকে এসে তীরের মতো বেঁধে। সম্প্রতি যেমন বর্ধমানের স্টেজ শো-র সময় রূপম ইসলামকে দাবি করতে শোনা গেল, তাঁকে ব্যবহর করেছেন টলিউডের পরিচালকরা। তাঁর নাম-খ্যাতি ব্যবহার করা হয়েছে সিনেমাকে হিট করাতে।
বর্ধমান উৎসবে গিয়েছিলেন রূপম ইসলাম সম্প্রতি। আর সেখানেই বাংলার এই বিতর্কিত গায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘অশোকস্তম্ভের তলায় লেখা সত্যমেব জয়তে। এটা মাথায় রাখবি। আমরা সেই দেশের নাগরিক। এখানে ফেসবুক রিল জেতে না। এখানে সত্যি কথা জেতে। এই যে আমার মতো একটা লোক, যে বারবার স্টেজ থেকে নামিয়ে দেওয়া অতিক্রম করে, এই যে গান লিখে গেল, গান গেয়ে গেল একটার পর একটা, এটা সিনেমার কৃপাপ্রার্থী না হয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিচালকদের কৃপাপ্রার্থী আমাকে হতে হয়নি। তারা আমাকে নিয়েছে আমার নামটা ব্যবহার করার জন্য। আমার জনপ্রিয়তা ব্যবহার করার জন্য আমাকে নিয়েছে। আমি বরং কোনো অতিরিক্ত সুবিধা সেখান থেকে পাইনি। লাভবান তারা হয়েছে, যারা আমাকে নিয়েছে। যাদের বুদ্ধি আছে, বিবেচনা আছে, তারা সবই জানে।’
এখানেই না থেমে থেকে রূপম নিজের ও ফসিলসের প্রশংসা করে বলেন, হাতে গোনা কম ব্যান্ড আছে গোটা বিশ্বে যা ২৭ বছর পর একইভাবে জনপ্রিয়। যে ব্যান্ডের প্রায় সব গান কণ্ঠস্থ থাকে শ্রোতা-দর্শকরে। রূপমের কথায়, ‘এটা অলটারনেটিভ গানের মঞ্চ। এর (ফসিলস ব্যান্ড) পিছনে কোনো ব্যাবসায়ীরা টাকা নিয়ে দাড়িয়ে ছিল না কোনোদিন। বিরাট বিরাট দারুণ দারুণ হিরোকে আমাদের গানের ভিডিয়োতে পাইনি। তারপরেও এটা ২৭ বছরের একটা ব্যান্ড। বিশ্বে কটা আছে গুণে দেখ। জনপ্রিয়তা উর্দ্ধমুখী কটা আছে গুণে দেখ। এভাবে সব গন মুখস্থ, এরকম ব্যান্ড কটা আছে গুণে দেখ। এটা কিন্তু বাঙালির একটা গর্ব।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ফসিলসের। প্রথম স্টেজ শো হয় ৯ জানুয়ারি ১৯৯৯। প্রথম অ্যালবাম আসে ২০০২ সালে। আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা রূপমের হাতে তৈরি এই ব্র্যান্ডের। ভারত ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে পারফর্ম করেন টিম। একলা ঘর, নেমেসিস, আরও একবার, মানব বোমা, অ্যাসিড, বিষাক্ত মানুষ, স্তব্ধ জীবনের মতো হিট গান উপহার দিয়েছে এই ব্যান্ড।