সম্প্রতি রূপম ইসলামের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ ভাইরাল হয়। সেখানে কখনও তাঁকে চিত্রপরিচালকদের নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে, তো কখনও আবার রিল নিয়ে কথা বলেছেন। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অনেকে যেমন তাঁকে কটাক্ষ করেছেন, অনেকে সমর্থন করেছেন। ভূমি ব্যান্ডের আর্যেশ রায় এবং সৌমিত্র রায় ব্যঙ্গ করায় এদিন নাম না করেই তাঁদের জবাব দিলেন রূপম ইসলাম।
আরও পড়ুন: শাড়ি থেকে চুমু বিতর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে ট্রোলড, মমতা শঙ্কর বললেন, ‘মেয়ে হিসেবে একটা মান সম্মান…’
কী ঘটেছে?
সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ভূমি ব্যান্ডের ড্রামার রূপম ইসলামের এই ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, 'দাদা রেগে গেছেন।' সেখানে সৌমিত্র রায় লেখে, 'কাকে বা কেন?'
এরপর এদিন রূপম ইসলাম কারও নাম না করেই তাঁর একটি পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের মতো রক পারফর্মারদের পারফর্মেন্সে যুগ-যুগ থেকেই উদ্ভট রস, তাণ্ডব রস, খেয়াল রস ছুঁয়ে যাওয়া আছে, যার একটা কনটেক্সট বা প্রসঙ্গ থাকে। সম্পূর্ণ কনসার্ট দেখলে ব্যাপারটা বেশ বোঝা যায়। এসব কথা কনসার্ট কর্মীরা জানেন, বা তাঁদের জানবারই কথা। একটি ছোট্ট অংশকে আলাদা করে দেখলে বোঝা যাওয়ার তো কথা নয় উদ্ভট রস সেখানে কীসের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশিত হল। তবুও এই অংশটি আলাদা করে তুলে ধরে অন্য আরেক তরুণ কনসার্ট কর্মী যখন বালখিল্য মন্তব্য করেন, তখন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হয়।’
তিনি এদিন আরও লেখেন, 'মনে হয়, এতদিন কেটে যাওয়ার পরেও রক সংগীতের অন্যতম মূল শিক্ষা— free yourself on the stage from all inhibitions— এঁরা (সম্মানবাচক এবং স্বস্তিদায়ক বহুবচন ব্যবহার করলাম) নিজে জেনে বুঝেও (জানেন না, এতটা মূর্খতা আশা করি না) অস্বীকার করতে চাইছেন, কথ্য বাংলায় ‘পাবলিক নাচানো’ যাকে বলে, সেটা করাই এঁদের আসল উদ্দেশ্য। অবশ্য ‘পাবলিক নাচাতে রাজি নই’, এ কথা বলে ফসিলস বিদেশের কনসার্ট ছেড়ে দিয়েছিল— যে কথা আমার একটি বইতে আমি উল্লেখ করেছি, তেমন আদর্শ সবারই থাকতে হবে, তাও তো না। পাবলিক নাচাতে কেউ কেউ ভালোবাসবেন নির্ঘাত, সে তার মঞ্চ পেছনে ফ্লেকস লাগানো মাচা-ই হোক অথবা ফেসবুক!'