ফেব্রুয়ারি মাসেই বাগদানের ঘোষণা সেরেছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। আর এবার জানিয়ে দিলেন বছর শেষেই সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন তিনি। এই মুহূর্তে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র লাবণ্য সেনগুপ্ত হিসাবে ছোটপর্দায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রূপাঞ্জনা। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে পছন্দের শাশুড়িমা তিনি। আর দীপার শাশুড়ি আপতত প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছাদনা তলায় বসার।
পরিচালক রাতুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে কোনওদিনই বিশেষ লুকোছাপা করেননি রূপাঞ্জনা। গত কয়েক বছর ধরেই প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ তাঁরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ৮ বছরের ছেলে রিয়ানকে সাক্ষী রেখে আংটি বদল সেরেছিলেন পর্দার লাবণ্য,এবার মালাবদলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না রূপাঞ্জনার!
১৫ বছর দীর্ঘ দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন সংসার পাততে চলেছেন রাতুলের সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান,'খুব কম বয়সে নিজের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করেছিলাম। পরে বুঝেছি সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। সমালোচনা মুখ বুজে সহ্য করেছি। ভেবেছিলাম জীবনে কখনও নতুন সম্পর্কে জড়াব না। কিন্তু রাতুলের সঙ্গে কখন যে জড়িয়ে পড়লাম।'
২০১৭ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় রূপাঞ্জনার। তারপর থেকে ছেলেকে একা হাতে বড় করছেন অভিনেত্রী। তাঁর হবু বরের সঙ্গেও দারুণ বন্ডিং রিয়ানের। সময় পেলেই ছেলে আর প্রেমিককে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন রূপাঞ্জনা। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ডিসেম্বরে আমাদের সামাজিক বিয়ের ডেট পাকা। সমাজ আমাদের বিয়েটা কোন চোখে দেখবে সেটা নিয়ে এখনও দ্বন্দ্বে রয়েছে। আসলে বয়সে আমি রাতুলের চেয়ে অনেকটাই বড়। পাড়া-প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজন কেউই কটাক্ষ করতে ছাড়ে না’।
রূপাঞ্জনা, রাতুলের থেকে বয়সে ৬বছরের বড়। কিন্তু ভালবাসার ক্ষেত্রে বয়স কখনও বাধা হতে পারে না, এমনটাই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন এই প্রেমিক যুগল। বন্ধুত্বে আস্থা রয়েছে দুজনের। তাই তো রাতুলের হাত ধরে জীবনকে নতুন সুযোগ দিতে চান রূপাঞ্জনা। রাতুলের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মজার রিল ভিডিয়ো শেয়ার করেন অভিনেত্রী। শেয়ার করেন তাঁদের অবসরযাপনের ঝলক।
পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন রাতুল। শ্যুটিং ফ্লোরেই পরিচয় তাঁদের, সেখান থেকে বন্ধুত্ব আর প্রেম। প্রায় ৪-৫ বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। রিয়ানেরও বেস্ট ফ্রেন্ড রাতুল। একসঙ্গে ভিডিয়ো গেম খেলা থেকে সুইমিং পুলে দাপাদাপি, হবু বাবার সঙ্গে সবই চলে রিয়ানের।