গত ১৯শে এপ্রিল সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। প্রথম বিয়ে ভাঙার পর বয়সে ছোট পরিচালক-অভিনেতার প্রেমে পড়েছিলেন রূপাঞ্জনা। ৬ বছরের প্রেম সম্পর্ককে সমাজিক স্বীকৃতি দিয়েছেন ছেলে রিয়ানের কথা ভেবেই। বিয়ের এক মাসের মাথায় মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশ্যে উড়ে গিয়েছেন তাঁরা। যেমনটা অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ঠিক তেমনটাই। ছেলে রিয়ানকে নিয়েই রাতুলের সঙ্গে কাশ্মীর ট্রিপে অনুরাগের ছোঁয়ার লাবণ্য। আরও পড়ুন-শেষ মুহূর্তে বদলে গেল হানিমুনের জায়গা, শীতের দেশে আদরে মাখামাখি রাতুল-রূপাঞ্জনা, গেলেন কোথায়
রূপাঞ্জনা আগেই জানিয়েছিলেন, ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের। সেইমতো ব্যাগ-পত্তর গুছিয়ে সোজা কাশ্মীর। ভূ-স্বর্গে যাওয়ার আগে রীতিমতো চুল কেটে নতুন লুকে ধরা দিয়েছেন লাবণ্য। সেই নিয়েও কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি। এবার ফের একবার রাতুলের সঙ্গে বয়সের ফারাক নিয়ে বিদ্রুপের মুখে পড়লেন মধুচন্দ্রিমায় মজে থাকা রূপাঞ্জনা। তবে স্ত্রীর হয়ে সেই ট্রোলারকে কড়া জবাব দিয়েছেন রাতুল।
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কম কটাক্ষ, বিদ্রুপ শুনতে হয়েনি রূপাঞ্জনাকে। নেপথ্যে অভিনেত্রীর ডিভোর্সি তকমা। ৪৩ বছর বয়সী নায়িকাকে ‘বুড়ি’ তকমা দেওয়া হয়েছে ৬ বছরের ছোট রাতুলের হাত ধরার জন্য। রাতুল-রূপাঞ্জনার হানিমুনে উড়ে যাওয়ার ছবিতে এক নেটিজেন লেখেন, ‘সফল, স্বাধীনচেতা মা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ছুটি এনজয় করছে’। এই ধরণের অসংবেদনশীল ট্রোলের জবাবে রাতুল পালটা লেখেন, ‘আপনাকে অনেক অভিনন্দন এই মন্তব্য করে কয়েক মাইক্রোসেকেন্ডের যশ পাওয়ার জন্য। ভগবান আপনার মঙ্গল করুন, এবং আপনার ৮০০ জন ফলোয়ারের’।
নেতিবাচকতাকে পাত্তা দিতে না-রাজ রূপাঞ্জনা-রাতুল। দাম্পত্য জীবনের স্বাদ চেটেপুটে নিচ্ছেন দুজনেই। দুৃ-জনের বয়সের পার্থক্য নিয়ে কুরুচিকর ট্রোল সম্পর্কে রূপাঞ্জনা প্রশ্ন ছুঁড়ে আগেই HT Bangla-কে বলেছেন, ‘এটা নিয়ে কী বলব! এটা কিছু শ্রেণির মানসিকতা। তাই কিছু লোকজন এটা নিয়ে আলোচনা করেন, ভাবেন। সবার কথায় কান দিলে কি চলে?' বিয়ের পর জীবন কতটা বদলেছে? অভিনেত্রী জানান, ‘আমরা এই সম্পর্কে সাড়ে ৬ বছর আছি। পরস্পরের সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পর্কটা এগিয়েছে। বিয়ের পর আর আলাদা করে কী বদলানোর আছে। এটাও তো সেই ভালোবাসারই সম্পর্ক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই জায়গাটা একই আছে। সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্কটাই এগিয়ে যাচ্ছে, এই যা…। হয়ত আমাদের বিয়েটা হয়েছে বলে আমরা এখন আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছি। তবে খুব একটা কিছু বদলায়নি।’