কেকে বিতর্ক এখনও পিছু ছাড়ে না রূপঙ্কর বাগচির। সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৩ বছর। তবে দেখা যায়, এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই নিয়েই কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে।
যেমন চুপ কর-এর হয়ে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন, তিনি রূপঙ্করের কাছে জানতে চান, গায়ক যদি সাংবাদিক হতেন, তাহলে এই মানুষগুলোকে কি প্রশ্ন করতেন। আর এতে ওঠে অরিজিৎ সিং-এর নামও।
যা শুনে দেখা যায় ভালোলাগার একটা রেশ খেলে যায় রূপঙ্করের মুখে। তিনি বেশ আন্তরিকভাবেই বলে ওঠেন, ‘আমি অরিজিৎকে প্রশ্ন করব, আর কত অবাক হব তোমার ট্যালেন্ট দেখে! আর কত অনুপ্রেরণা দেবে তুমি আমাদেরকে। তোমার থেকে আমি অনেক সিনিয়ার, তবুও সব সময় তোমার কাছের থেকে আমি শিখছি। এবং ক্রমাগত শিখে চলেছি। তোমার গান গাওয়া, তোমার সংগীতের দক্ষতা, তোমার জীবনযাপন, সমস্তটাই আমাকে এত উদ্বুদ্ধ করে, আরও কীভাবে তুমি আমাকে উদ্বুদ্ধ করবে!’
আরও পড়ুন: মেয়েকে আগলে রেখেছেন বুকে, এয়ারপোর্টে দীপিকা-রণবীর, মুখ কি দেখা গেল দুয়ার?
কিন্তু অদ্ভুতভাবে এখানেও সেই কেকে বিতর্কই প্রাধান্য পেল! একজন কমেন্ট করলেন, ‘একবার কেকে-র নামটাও জিজ্ঞেস করুন। সাংবাদিক হলে কেকে-কে কি জিজ্ঞাসা করতেন 'হু ইজ কেকে ম্যান'?’ আরেকজন লিখলেন, ‘এই লোকটাকে ভালো লাগে না, যখন থেকে উনি কেকে-কে নিয়ে খারাপ কথা বলেছিলেন। তবে ওঁর আগের গানগুলো কিন্তু সত্যিই ভালো লাগত!’
আরও পড়ুন: কুণালের প্রশংসা, অরিত্র কি যোগ দেবে তৃণমূলে? জবাব এল, ‘ভোটের টিকিটের জন্য আমায়…’
কেকে বিতর্ক ও রপঙ্করের জীবন:
২০২১ সালে মে মাসে কলকাতায় কনসার্ট করতে এসেছিলেন কেকে। সেইসময় গায়কের শো নিয়ে যে মাতামাতি শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, তাতে একটু বিরক্ত হয়েছিলেন রূপঙ্কর। তিনি লাইভে এসে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘হু ইজ কেকে ম্যান’! যদিও রূপঙ্করের আসল বক্তব্য ছিল, বাংলার অনেক গায়কই ভালো গায়। কেন বাঙালি শ্রোতা ও দর্শক তাদের নিয়ে এভাবে উন্মাদনা প্রকাশ করে না! তবে সোশ্যাল মিডিয়া এত তলিয়ে না দেখেই কটাক্ষ করা শুরু করে।
আরও পড়ুন: পাঁজরের চোট কতটা গুরুতর, বন্ধ কি শ্যুট? নিজে টুইট করে ভক্তদের জানিয়ে দিলেন সুনীল
পরিস্থিতি খারাপ হয় যখন ৩১ মে রাতে সেই কনসার্টের পরই হার্ট অ্য়াটাকের কারণে মারা যান কেকে! গায়কের ভক্তদের সব ক্ষোভ গিয়ে যেন পড়ে রূপঙ্করের উপরে। সেই সময়, তাঁর পরিবারকেও নানা আপত্তিকর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। অনেক কাজ চলে যায় রূপঙ্করের হাত থেকে। এমনকী, মিও আমোরে ব্র্যান্ড পর্যন্ত প্রতিবাদের ঝড়ে মাধ্য হয়, কেকে-কে দিয়ে গাওয়ানো তাঁদের জিঙ্গলকে সরিয়ে নিতে।