‘আদরের পেত্নী রাজকন্যা..’, নিজের সন্তান নয় বলে শুনেছেন কটাক্ষ! দীপাবলিতে মেয়ের কোন কীর্তি ফাঁস করলেন রূপঙ্কর?

Rupankar Bagchi's Daughter: আলোর উৎসবে নিজের হাতে ঘর সাজিয়েছেন রূপঙ্কর কন্যা। মেয়ের রঙ্গোলির ছবি প্রকাশ্যে এনে কী লিখলেন গায়ক?

দু-বার গর্ভবতী হয়েছিলেন, কিন্তু মা হতে পারেননি রূপঙ্কর পত্নী চৈতালি। গর্ভপাতের যন্ত্রণা, সমাজের কটূক্তি সইতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁদের অন্ধকার জীবনে আলোর রোশনি হয়ে আসে মহুল। তাঁদের একমাত্র কন্যা। মহুলকে দত্তক নিয়েছিলেন গায়ক ও তাঁর স্ত্রী।

রূপঙ্কর বাগচি একদিকে তারকা, বলা যায় সাম্প্রতিক অতীত বিতর্কিত তারকা। কিন্তু তাঁর লাইমলাইটের বাইরে রূপঙ্কর কিন্তু একদন আদ্যোপান্ত ফ্যামিলিম্যান। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়েই তাঁর গোটা জগত। আলোর উৎসবেও ‘ও চাঁদ’ গায়কের বাড়ি জমজমাট। ভূত চতুদর্শীর রাতে রূপঙ্করের ‘সাধের পেত্নী বউ’ আর ‘আদরের পেত্নী রাজকন্যা’ কী কাণ্ড ঘটিয়ছেন তা সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলসা করেছেন গায়ক।

ও চাঁদ’ থেকে ‘এ তুমি কেমন তুমি’, রূপঙ্কর বাগচীর কণ্ঠে একের পর এক সুপারহিট গানে মুগ্ধ বাঙালি। তর্ক-বিতর্ক সবকিছুকে ছাপিয়ে তাঁর গান আজও পাড়ার রক থেকে সঙ্গীতের জমজমাট আসরের রসদ। তবে ভূত চতুর্দশীতে একেবারে অন্য কাণ্ড তাঁর বাড়িতে। তাঁর ‘সাধের পেত্নী বউ’ আর ‘আদরের পেত্নী রাজকন্যা’ কী কাণ্ডটি করেছে জানেন?

কালীপুজোর আগের দিন বাঙালি বাড়িতে দুপুরে চোদ্দ শাক খাওয়া আর সন্ধ্যায় চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো মাস্ট। এর বাইরে আজকাল উত্তর ভারতের ছোঁয়ায় বাঙালি সংস্কৃতিতেও জুড়ে গিয়েছে রঙ্গোলি। নানা রঙ দিয়ে ঘরের মেঝে সাজিয়ে তুলে তার চারপাশে প্রদীপ জ্বালানো এখন নয়া ট্রেন্ড।

রূপঙ্করের গুণী মেয়ে মহুলের হাতে তৈরি সুন্দর রঙ্গোলির ছবি অভিবন ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করেন গায়ক। লেখেন, ‘ভুত আমার পুত…পেত্নী আমার ঝি…আমার মেয়ের রঙ্গোলিতে….প্রদীপ সাজিয়েছি’। ‘ব্রহ্মদৈত্য’ রূপঙ্কর আরও জানান, ‘ক্যাপশন দিয়েছেন আমার সাধের পেত্নী বৌ, রঙ্গোলি করেছেন আমার আদরের পেত্নী রাজকন্যা’।

রূপঙ্কর কন্যের হাতে কাজের প্রশংসা করেছেন সক্কলে। কেউ লেখেন, খুব সুন্দর। কেউ জানান, যেমন সুন্দর রঙ্গোলি, তেমন খাসা ক্যাপশন। 

মহুল তাঁর বেঁচে থাকার রসদ, সব যন্ত্রণা হাসিমুখে সইবার একমাত্র কাণ্ডারী, আগেও জানিয়েছেন রূপঙ্কর। এর আগে স্টার জলসার রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে গায়ক পত্নী জানিয়েছিলেন, ‘মা হতে চেয়েছিলাম কিন্তু হতে পারিনি, ভীষণ চেষ্টা করেছিলাম…’। মেয়েকে পাশে নিয়েই বলেছিলেন, মহুল তাঁর গর্ভ থেকে নয় হৃদয় থেকে জন্মেছে। দত্তক-কন্যা হওয়ার কথা শুনে প্রথমে ধাক্কা খেয়েছিল মহুল। পরে নিজেকে সামলে নেন। সমাজের কটাক্ষকে উপেক্ষা করেই তাঁদের সাজানো সংসার। বাবার পথে হেঁটে সংগীতের চর্চা শুরু করেছে মহুল। অনেক সময়ই রূপঙ্করের গানে ইউকুলেলে বাজিয়ে সঙ্গত দেয় মেয়ে।