রূপঙ্কর বাগচি এবং চৈতালি বাগচির বিয়ের ২৫ বছর কেটে গিয়েছে। গত ২৭ জুন ছিল তাঁদের রজত জয়ন্তী বর্ষের বিবাহবার্ষিকী। এত বছর পর বিয়ে এবং তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে নানা অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন গায়ক। সুখী দাম্পত্যের টিপস দিয়ে কী জানালেন রূপঙ্কর?
আরও পড়ুন: 'কার পাকা ধানে মই দিলাম?' সাইবার ক্রাইমের শিকার শ্রীলেখা! কী ঘটেছে?
বিয়ে নিয়ে কী জানালেন রূপঙ্কর?
রূপঙ্কর বাগচি জানান তাঁর এবং চৈতালি বাগচির বিয়েটা মিথ্যে বলে হয়েছিল। কেন? সেটাই টিভি ৯ বাংলার কাছে খোলসা করেছেন গায়ক। আসলে রূপঙ্কর এবং তাঁর স্ত্রীর আলাপ হয় নাটকের ক্লাস থেকে। তাঁরা একসঙ্গে নান্দিপঠ নামক একটি দলে একসঙ্গে নাটক করতেন। সেখান থেকেই আলাপ এবং প্রেম, পরবর্তীতে বিয়ে। মাত্র এক বছরের প্রেমের পরই বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে গায়কের বাড়ি থেকে এই সম্পর্ক মেনে নিলেও তাঁর শ্বশুর বাড়ি থেকে সেই সম্পর্ক মানা হয়নি।
রূপঙ্কর বাগচি জানান, 'এখন আমার একটু নাম হয়েছে। তখন আমি স্ট্রাগল করছি। কেউ চিনত না। তাই ওর বাড়ির কাছে আমি পাত্র হিসেবে খুবই খারাপ ছিলাম কারণ অনিশ্চয়তায় ভরা জীবন ছিল। তবে যখন আমাদের বিয়ে হয় তখন ওর দাদারা সবাইকে বলে আমি নাকি রেলে সরকারি চাকরি করি। পরে যখন আমার নাম ডাক হয় তখন সবাই যখন জিজ্ঞেস করতে শুরু করে যে আমি রেলের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি নাকি? তখন ওঁরাই সত্যটা সবাইকে জানান। এখন আমায় ওঁরা খুবই ভালোবাসেন। আমার শ্যালকরা আমার ইয়ার দোস্ত হয়ে গিয়েছে এখন। ওঁদের ঘরের ছেলে হয়ে গিয়েছি আমি।'
আরও পড়ুন: ভিকির ব্যাড নিউজের নেপথ্যে ছোঁয়া আছে ক্যাটরিনারও! জানাজানি হতেই কী প্রতিক্রিয়া দিলেন?
এত বছরের সম্পর্কের নেপথ্যে কী?
রূপঙ্কর জানান। চৈতালি বাগচি তাঁর কাছে প্রেমিকা বা স্ত্রীর থেকে অনেক বেশি একজন ভালো বন্ধু। তাঁরা কেউ কারও থেকে কিছু লুকান না বলেও জানান। রূপঙ্করের কথায়, 'আমাদের বন্ধুত্বের জায়গাটা কোনওকালেই নষ্ট হয়নি।' বিয়ের ২৫ বছর পর গায়ক তাঁর স্ত্রীর কাছে একটাই জিনিস চেয়েছেন, আর সেটা হল তাঁর সুস্থতা।
রূপঙ্কর বাগচি চৈতালির উদ্দেশ্যে বলেন, 'তোমার শরীর সুস্থ থাকলেই আমি শান্তি পাই। নিজের শরীরের খেয়াল রেখো। এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।'