শীঘ্রই মা হতে চলেছেন, আর তাই সম্প্রতি অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ছিল তাঁর সাধের অনুষ্ঠান। আর সেদিনই পরিবার আত্মীয়দের সঙ্গে একটা মজার খেলায় অংশ নেন রূপসা। খেলাটি ছিল ‘ছেলে হবে নাকি মেয়ে! আপনি কোন পক্ষে?’ আর এই খেলায় রূপসার স্বামী সায়নদীপ সরকার সহ পরিবারের বেশিরভাগ লোকজনই পুত্র সন্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রোলের মুখে পড়েন রূপসা।
অবশেষে এই ঘটনায় মুখ খুললেন রূপসা চট্টোপাধ্যায়। এই সময়-কে অভিনেত্রী বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, সুস্থ সন্তান হোক এটাই আমাদের একমাত্র প্রার্থনা। ছেলে নাকি মেয়ে এসব আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা মজা করেই এই গেমটা খেলেছিলাম যে ছেলে চাই নাকি মেয়ে। বিদেশে তো এই খেলা বেশ জনপ্রিয়। কারোরই এমন বাধ্যবাধকতা নেই যে এটাই চাই। যেমন কেউ যদি প্রশ্ন করেন, প্রিয় রং কী? তাহলে কেউ বলবেন লাল, কেউ বলবেন কালো। তার মানে এই নয় যে অন্য রং পছন্দ নয়।’
আরও পড়ুন-ওশো রজনীশ হয়ে ধরা দেবেন মিঠুন! মহাগুরু বলছেন, ‘লোকে বলে আমায় ওঁর মতো দেখতে…’
রূপসা জানান, তিনি আরও একটা ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন, যেখানে বেশিরভাগ ভোটই মেয়ের পক্ষে পড়েছে। তাঁর কথায় এক এক জনের একএক রকম ইচ্ছে হতেই পারে। তবে তাঁদের সন্তান পরিবারের সকলের কাছেই খুব আদরের হবে। অভিনেত্রী জানান, অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়টা তিনি বেশ সুন্দরভাবেই উপভোগ করছেন। বাড়ির সকলের আদর যত্নেই কাটছে তাঁর। সারাদিন শুধুই খাওয়াদাওয়া আর ঘুম, দিব্যি আছেন।
প্রসঙ্গত, ২৭ জানুয়ারি রূপসা যে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছিলেন, তাতে তাঁর স্বামী সায়নদীপ সরকার, শ্বশুর-শাশুড়ি সহ পরিবারের মোট ১১টি ভোট পড়েছিল ছেলের পক্ষে। আর মেয়ের পক্ষে পড়ে মাত্র ৫টি ভোট। আর তাতেই নেটজেনরা বেজায় বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে অনেকেই লিখেছিলেন, ‘ছিঃ একী মানসিকতা!’ কেউ লেখেন, ‘ছিঃ ছিঃ’, কারোর মন্তব্য, ‘আজও বেশিরভাগ মানুষ ছেলেই চান! অবাক লাগে!’ কারোর কথায়, ‘এটা কী ধরনের ভিডিয়ো ছেলে হোক বা মেয়ে সুস্থ হওয়ায় কাম্য…।’
তবে এই ট্রোলিংয়ের পরপরই রূপসা আরও একটা ভিডিয়ো দেন, যেখানে চোখ বন্ধ করে পরিবারের লোকজন ছেলে নাকি মেয়ে, সেই অনুযায়ী নীল এবং গোলাপী বেলুন বেছে নিয়েছিলেন। সেখানে অবশ্য চোখ বন্ধ করে রূপসার স্বামী সহ অনেকেই গোলাপী (মেয়ে) বেলুনই বেছে নেন। তবে এই খেলাতেও শুরু থেকে ছেলে নাকি মেয়ে সমান সমান নম্বর পেলেও শেষপর্যন্ত রূপসার শ্বশুরমশাই নীল বেলুন তুলে বয়-কেই ১ ভোটে এগিয়ে দেন।