শুরু হয়ে গিয়েছে ‘সারেগামাপা ২০২১’র সফর। আর এবারের সিজনের অডিশন পর্ব থেকেই দর্শক পেয়ে চলেছেন একের পর এক ঝটকা। কখনও পাঁচ মাসের মেয়েকে কোলে নিয়ে গান গাইছেন এক মা, তো কখনও বাংলা সারেগামাপা-র থার্ড রানার আপ পৌঁছে যাচ্ছেন অডিশনে। আর এবার অডিশন দিতে পৌঁছলেন এক তরুণ, যে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ইলেকট্রিক শক খেয়ে খুঁইয়েছেন দুই হাত।
সারেগামাপা-র মঞ্চে প্রথমে ছেলেটিকে দেখে অবাক হন বিচারকের আসনে বসে থাকা হিমেশ রেশামিয়া, বিশাল দাদলানি, শঙ্কর মহাদেবন। তারপর ছেলেটির গল্প শুনে অবাক হন সকলে। জীবনের লড়াইয়ে অদম্য জেদ সাথে করে যেভাবে সে এগিয়ে চলেছে সেই গল্প অনুপ্রেরণা যোগায় উপস্থিত সকলকেই।
দুর্ঘটনার পর প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল এই পাহাড়ি ছেলেটির জীবন। তবে, ঘুরে দাঁড়ান গ্রামের এক বৌদ্ধ মঠের লামার হাত ধরে। একসময় যে ছেলেটিকে খাইয়ে দিতে হত মা-কে, যার মা-বাবা ভাবত তাঁরা মরে গেলে তাঁদের ছেলেকে দেখার কেউ নেই, সেই ছেলেটাই ধীরে ধীরে শেখে সব কাজ। কাটা হাত দিয়েই আজ সে ক্রিকেট, ভলিবল, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন খেলে। ছবি আঁকে। গাড়ি চালায়। সঙ্গে খুব ভালো গান গায়।
কখনও গান শেখেননি বলেই সারেগামাপা-র মঞ্চে দাবি করেন ওই পাহাড়ি প্রতিযোগী। তবে, হিমেশের মতে তাঁর গলার আওয়াজ ভগবানের আশীর্বাদ। আর শঙ্কর মহাদেবনের মতে, এমন টোনাল কোয়ালিটি রেকর্ডিং স্টুডিওতেও অনেকের মধ্যে চোখে পড়ে না। তিন বিচারক ও জুড়ি সদস্যদের মধ্যে প্রায় সকলের সম্মতিতে পরের রাউন্ডে পা রাখেন ওই প্রতিযোগী।