জি টিভি-র জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো সারেগামাপা-র মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলার প্রতিযোগিরা। যার মধ্যে অন্যতম জি বাংলা সারেগামাপা-র চর্চিত প্রতিযোগী স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক। ২০১৯ সালে বাংলা সারেগামাপা-য় দ্বিতীয় স্থান দখল করেন স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক। বালুরঘাট থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট শহর বুনিয়াদপুরের ছেলে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক। মুম্বইয়ে সারেগামাপা-র শ্যুটিং থেকে দিন কয়েকের ছুটি পেতেই নিজের শহরে ছুটে এসেছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। সেই ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন ফেসবুকে।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে বাবা-মা-কে কিচ্ছুটি না জানিয়ে আমচকা বাড়ি ফিরে চমকে দেন তিনি। দেখা মিলল গায়কের স্ত্রী অতিদিরও। সারেগামাপা-র মঞ্চে জেতা মেডেলও নিজের প্রাণের চেয়ে প্রিয় মানুষগুলিকে পরিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে স্নিগ্ধজিৎ-কে। কিন্তু এই ভিডিয়ো পোস্ট করে ট্রোলড হতে হয়েছে গায়ককে। কমেন্ট বক্সে অনেকেই লিখেছেন, ভিডিয়োতে অদিতিকে একদম মনমরা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, বরের সাফল্যে খুশি নয় সে। এই কটাক্ষের জবাব দিলেন গায়ক।
স্নিগ্ধজিৎ পালটা লেখেন, ‘অনেক কেউ কমেন্ট করছে যে বউ খুশি না, আচ্ছা এবার তাদের ভুলটা একটু ভাঙিয়ে দিই, নইলে শান্তি হচ্ছে না। আমার জীবনে বউ এতোটা আত্মত্যাগ করেছে, আর এতো বড় মঞ্চে আমার সাফল্যে বউ খুশি হবে না? আসলে আমি বম্বে থেকে কলকাতায় ল্যান্ড করেছিলাম ফ্লাইটে আর আমার বউ সারারাত জার্নি করে গ্রাম থেকে কলকাতায় নিতে এসেছিল, তারপর আবার গাড়ি থেকে ২০ ঘন্টা ধরে কলকাতা থেকে গ্রামে ফেরা। এতক্ষণ জার্নি করলে কারুর মুখে হাসি থাকবে বাবু, তাও যে ও হেসেছে এর জন্য ওকে হ্যাটস অফ, আর এতো স্যাকরিফাইস করেছে ও আমার জীবনে ও খুশি হবে না এটা ভাবাটা তোমাদের ভুল, এমন ভেবো না। ভালো থেকো, সুস্থ থেকো’।
স্ত্রীকে নিয়ে এর আগেও কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্নিগ্ধজিত্। সারেগামাপা-র মঞ্চে নাটক করছেন স্নিগ্ধজিৎ, নিজেকে গরীব হিসাবে তুলে ধরছেন- কিছু নেটিজেনদের তরফে এমন অভিযোগ উঠেছে তাঁর নামে। বাদ পড়েননি অদিতিও। স্নিগ্ধজিৎ-এর স্ত্রী অদিতি। সারেগামাপা মেগা অডিশনে অদিতির দেখা মিলেছিল ভিডিয়ো কলে। সেই নিয়েও বিদ্রুপে শিকার হয়েছেন স্নিগ্ধজিৎ। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যা রটনায় মর্মাহত গায়ক ফেসবুকে লাইভে জানিয়েছিলেন, 'এখন ভগবানের দয়ায় আমাদের অবস্থা স্বচ্ছল। এমন দিন গেছে, তখন আমার কাছে রেওয়াজ করবার তানপুরা ছিল না। অদিতি নিজের রক্ত বেচে আমার তানপুরা এনেছে। সেই মেয়েটা আমাকে কোনওদিন ছেড়ে যাবে না’।