জি টিভির সারেগামাপা-র মঞ্চ বুঁদ বুনিয়াদপুরের ছেলে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিকের সুরের মূর্ছনায়। শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গের এই ভূমিপুত্রের সুরে মুগ্ধ বিচারক, জুরি থেকে আম জনতা। গত সপ্তাহে সারেগামাপা-র মঞ্চ স্মরণ করছে ভারতমাতার বীরপুত্রদের। প্রজাতন্ত্র দিবস স্পেশ্যাল এপিসোডে স্নিগ্ধজিৎ-এর পারফরম্যান্স ফের একবার নজরকাড়া। সহ-প্রতিযোগী শরদ শর্মার জুটি বেঁধে এদিন ‘জাতীর জনক’ মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিলেন স্নিগ্ধজিৎ।
এদিন দুজনের কন্ঠে ধ্বনিত হল ‘বৈষ্ণব জন তো’। নরসিংহ মেহতার এই ভজন মহাত্মা গান্ধীর দৈনিক প্রার্থনার অন্তর্গত ছিল। এরপর স্নিগ্ধজিৎ ও শরদের গলায় শোনা যায় ‘লাগে রাহো মুন্নাভাই’এর সুপারহিট গান ‘বন্দে মে থা দম… বন্দেমাতরম’। বলার অপেক্ষা রাখে না স্নিগ্ধজিৎ-শরদের যুগলবন্দি মন ছুঁয়েছে সকলের।
তবে এই গানের ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন স্নিগ্ধজিৎ। কেন জানেন? আসলে ২৩শে জানুয়ারির দিন এই ভিডিয়ো পোস্ট করায় বহু বাঙালি অনুরাগীর কাছেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন গায়ক। নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে গান্ধীজির গান কেন? এই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ স্নিগ্ধজিৎ। তবে চুপ থাকেননি গায়ক, যথাযত উত্তরও দিয়েছেন। তিনি কমেন্ট বক্সে জানান, ‘দয়া করে মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং করো না যে আজ নেতাজির জন্মদিন তো এই গান কেন পোস্ট করলাম। আসলে এটা গতকাল জি টিভি সারেগামাপা-এর প্রজাতন্ত্র দিবস স্পেশ্যাল এপিসোডের পারফরম্যান্স। এক একজন প্রতিযোগী এক একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য অপর্ণ করছিল। আমার ভাগ্যে গান্ধীজি পড়েছিলেন। আজ নেতাজির জন্মদিন সেটা তো পুরো বিশ্ব জানে, খুব ভালো থেকে, সুস্থ থেকো সবাই’।

যদিও অনুরাগীরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন স্নিগ্ধজিৎকে। তাঁদের বক্তব্য, ‘দাদা তুমি দুর্দান্ত গেয়েছো। বাকি কারুর কথায় কান দিও না’। স্নিগ্ধজিৎ-এর হাত ধরে এইবার কি বাংলায় আসবে সারেগামাপা-র ট্রফি? আশা বাড়াচ্ছেন বুনিয়াদপুরের এই ভূমিপুত্র।