প্রত্যেক সপ্তাহে সারেগামাপা-র মঞ্চে নিত্যনতুন চমক দিচ্ছে বাংলার গর্ব স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক। বাংলা সারেগামাপা-র স্টেজে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ানো এই প্রতিযোগী আপতত জাতীয় মঞ্চে নজর কাড়ছে। গত সপ্তাহে কিশোর কুমারের গান গেয়ে সবার মন দিতে নিল বুনিয়াদপুরের এই ভূমিপুত্র। সম্প্রতি সারেগামাপা-র মঞ্চে আশির দশককে স্মরণ করা হল। বিশেষ অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। একদিকে বাউল গান শুনিয়ে বাপ্পিদা-র মন ভরালো অনন্যা, তেমনই কিশোরদা-র গান গেয়ে সকলকে চমকে দিল স্নিগ্ধজিৎ।
এদিন একসঙ্গে দুটি গানের মেলডি পারফর্ম করেন স্নিগ্ধজিৎ। বাপ্পি লাহিড়ির কম্পোজ করা ‘শরাবি’ ছবির ‘দে দে প্যায়ার দে’ এবং ‘লহু কে দো রং’ ছবির ‘চাইয়ে থোড়া প্যায়ার’ গাইলেন স্নিগ্ধজিৎ। এদিন ফের একবার গায়ক হিসাবে নিজের জাত চেনাল স্নিগ্ধজিৎ। সকলেই মুগ্ধ তাঁর গান শুনে। এদিন জুরিদের থেকে ১০০-তে ১০০ পেল সারেপামাপা-র এই প্রতিযোগী, পাশাপাশি হিমেশ-শংকর-বিশালদের থেকেও মিলল ভুরি ভুরি প্রশংসা। সকলে স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিয়ে কুর্নিশ জানায় বাংলার এই ‘রকস্টার’কে।
অডিশন রাউন্ড থেকেই বিচারক থেকে দর্শক, সকলের অন্যতম পছন্দের প্রতিযোগী হিসাবে মনের মণিকোঠায় জায়গা পাকা করে ফেলেছেন স্নিগ্ধজিত্। বিশাল দদলানির সঙ্গে কাজের অফারও পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। বাংলা সারেগামাপা-র ফাইনালিস্ট হওয়ায় জাতীয় মঞ্চে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন তিনি, এমন অভিযোগ আনা হেটার্সদের উদ্দেশে গায়কের সাফ বার্তা, ‘আমাকে কোনও বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি। সরাসরি সুযোগ দেওয়া হয়নি। কলকাতায় একবার, তারপর মুম্বইতে চারবার অডিশন দিয়ে আমি সেরা ১৬-য় নির্বাচিত হয়েছি…আমিও লাইনে দাঁড়িয়েছি। যাঁরা আমার উপর ভরসা রেখেছেন তাঁদের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে চাই আমি’।