দেব চৌধুরী জানান, ২০১৯-এ একবার উত্তর ২৪পরগনার একটা স্টেশনে শেষ ট্রেন ধরে যাওয়ার সময় কীর্তনের আসর তাঁর মন কেড়েছিল। তিনি দেখেন রাধামাধবের মন্দিরে একজন পদাবলী কার্তনের সঙ্গে নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, শ্যামাসঙ্গীত মিশিয়ে গাইছেন। কী অপূর্ব সেই গান, সেই ছেলেটিই আজকের জয়ী পদ্মপলাশ হালদার।
1/7চলতি মাসের গোড়াতেই জি বাংলা সারেগামাপা- জয়ীর খেতাব জিতে নিয়েছেন পদ্ম পলাশ হালদার। অস্মিতা করের সঙ্গে যৌথভাবে বিজয়ীর ট্রফি হাতে উঠেছিল লক্ষ্মীকান্তপুরের ছেলের। এই জয়ের পর পদ্মপলাশের গানের সফর নেহাত মন্দ কাটছে না।
2/7কীর্তন শিল্পী হিসাবেই এবার বাংলাাদেশে অনুষ্ঠান করতে গেলেন পদ্মপলাশ হালদার। বাংলাদেশের একটি গ্রামে কীর্তনের অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করেছেন পদ্মপলাশ নিজেই।
3/7বিমানে বাংলাদেশ উড়ে যাওয়ার সময়কার ছবিও পোস্ট করেছেন পদ্মপলাশ হালদার। অনুষ্ঠান সেরে কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে নেমে পদ্মপলাশ লিখেছেন, বাংলাদেশের বহু মানুষ মহাপ্রভুর নাম সংকীর্তন শুনেছেন এবং ভালোবাসা জানিয়েছেন।
4/7লক্ষীকান্তপুরের কীর্তন বাড়ির ছেলে বলতে সকলে এক নামে চেনেন কীর্তনীয়া পদ্ম পলাশকে। জানা যায়, তাঁদের বাড়িতে কেউ কোনওদিন চাকরি কিংবা ব্যবসা করেননি।। তিন পুরুষ ধরে তাঁরা শুধু কবি গান আর কীর্তন গেয়ে আসছেন। পদ্ম পলাশের কথায়, কীর্তন হল সাধনা ৷
5/7যদিও কীর্তন গায়ক পদ্মপলাশের সারেগামাপা-জয়ের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, শুধু কীর্তন, আর লোকগান গেয়ে কীভাবে কেউ সেরার তকমা পেতে পারে? পদ্মপলাশকে নিয়ে পক্ষপাতের অভিযোগও ওঠে।
6/7আর এরপরেই পদ্মপলাশের জয় নিয়ে চলা বিতর্কে এবার মুখ খোলেন সারেগামাপা-র লোকগানের প্রশিক্ষক, গবেষক দেব চৌধুরী। বলেন, সারেগামাপা-র মঞ্চে যাঁরা গুরু, মহাগুরু, বিচারক রয়েছেন, তাঁরা অনেক বড় মাপের মানুষ। তাঁদের ক্ষেত্রে এইরকম অভিযোগ ভীষণভাবেই ভুল, এই অভিযোগের অর্থ গোটা সংস্কৃতির অপমান ও অসম্মান।
7/7দেব চৌধুরী জানান, ২০১৯-এ একবার উত্তর ২৪পরগনার একটা স্টেশনে শেষ ট্রেন ধরে যাওয়ার সময় কীর্তনের আসর তাঁর মন কেড়েছিল। তিনি সেখানে পৌঁছে গিয়ে দেখেছিলেন রাধামাধবের মন্দিরে একটি ছেলে পদাবলী কার্তনের সঙ্গে নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, শ্যামাসঙ্গীত, এমনকি মান্না-দের গান মিশিয়ে গাইছেন। কী অপূর্ব সেই গান, সেই ছেলেটিই আজকের জয়ী পদ্মপলাশ হালদার।