গতকাল লড়াই থামিয়ে অন্য জগতে চলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু তাও এখনও যেন এই শূন্যতা কেউই মানতে পারছেন না। না তাঁর পরিবার, আত্মীয়, না তাঁর সহকর্মীরা। টলিউড যেন এখনও, ২৪ ঘণ্টা পরেও এই সত্য মেনে নিতে পারেনি। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কেবলই তাঁর কথা, তাঁর জন্যই পোস্ট। ঐন্দ্রিলার লড়াই অনেককেই তাঁদের ব্যক্তিগত কোনও অভিজ্ঞতা থেকে লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দিল। বাদ যাননি অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। ঐন্দ্রিলা যেন তাঁকে তাঁর দাদার কথা মনে করিয়ে দিল। তিনিও একই ভাবে তাঁর দাদাকে হারিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন সেই ' দুঃস্বপ্নের' মতো সময়টার কথা।
অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ তাঁর দাদাকে মাত্র ২২ বছরে হারিয়েছেন। তিনি জানান ছোট থেকেই তাঁর দাদার হার্টের সমস্যা ছিল। বেঙ্গালুরুতে তাঁর দাদার চিকিৎসা করা হয়। ৯ দিন কেমো দেওয়া হয় তাঁর দাদাকে। তারপর আচমকাই তাঁর দাদার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। যদিও অভিনেত্রীর দাদা সামলে নিয়েছিলেন তখনকার মত। ম্যাজিক করেই যেন বিপদ কাটিয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রীর দাদা। তখন আসলে কেউ বোঝেননি এই মিরাকেলের আয়ু স্রেফ তিনদিন! তিনদিন পর অভিনেত্রীর দাদা প্রয়াত হন। আর সেই খারাপ অভিজ্ঞতার কথাই অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। তিনি জানান দাদা মারা যাওয়ার পর তাঁর বাবা দেবী কালীর মূর্তি আছাড় মেরে ভেঙে ফেলেছিলেন।
একই সঙ্গে এই পোস্টে সায়নী ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীর কথা লেখেন। তিনি জানান, আপনারা প্রার্থনা চালিয়ে যান, থামাবেন না, প্রার্থনা করুন ওর পরিবার যেন শক্তি পায়। ছেলেটি যেন মানসিকভাবে শক্তি পায়। ঘুরে দাঁড়াতে পারে আবার। অভিনেত্রী জানান, তাঁদের জন্য সকলে প্রার্থনা করেছিল, অফুরান প্রার্থনা করেছিল। তাই তাঁরা পেরেছেন। ওঁরাও পারবে।
ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আলাদা ভাবে সায়নী লেখেন, 'ঐন্দ্রিলা, সুন্দরী তুই ভীষণ সাহসী একটা মেয়ে। বিশ্বাস কর তুই থাকবি। সবটা জুড়ে থাকবি। সারাজীবন থাকবি। যেমন আছে দাদাভাই।'
১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর ঐন্দ্রিলা শর্মাকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ২০ দিন লড়াই করার পর গত পরশু রাতে তাঁর পরপর ১০ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এবং গতকাল বেলা ১২.৫৯ মিনিটে তিনি প্রয়াত হন। এদিন বিকেলেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।