জুয়েলারি ডিজাইনার সাবা পতৌদি বৃহস্পতিবার ভাই সাইফ আলি খানের উপর হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। তিনি লিখেছেন, গোটা ঘটনায় তিনি ‘হতবাক’। তবে তাঁর বড় ভাই যেভাবে অনুপ্রবেশকারীর হাত থেকে তাঁর পরিবারকে রক্ষা করেছেন তার জন্য তিনি গর্বিত।
বৃহস্পতিবার ভোরে অভিজাত বান্দ্রায় ১২ তলার অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে ঢুকে এক ব্যক্তি বলিউড তারকাকে বারবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এরপর সেই রাতেই অভিনেতাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ৫৪ বছর বয়সী সাইফের উপর অস্ত্রোপচার চলে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে। আততায়ীর হামলাতে পুরো শরীরে ৬টি এবং ঘাড়ের কাছে ১টি চোট পেয়েছিলে। এমনকী, ছুরির একটি ভাঙা টুকরোও শরীরে গেঁথে গিয়েছিল।
সাইফের ছুরিকাঘাতে নিয়ে মুখ খুললেন সাবা পতৌদি
৫৪ বছর বয়সী সইফ জরুরি অস্ত্রোপচারের পর সমস্ত বিপদের বাইরে রয়েছেন বলে লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে ভাইয়ের জন্য মনে একরাশ দুশ্চিন্তা আবার সঙ্গে গর্ব অনুভব করছেন সাবা। সেই অনুভূতিই তুলে ধরলেন তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে।
লিখেছেন, ‘এই ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং এখনও যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। কিন্তু ভাইজান, তোমার জন্য আমি গর্বিত। পরিবারের জন্য এভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আব্বা-কে গর্বিত করেছ তুমি। আমি সবসময় তোমার সঙ্গে আছি। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো। ওখানে থাকতে পারছি না এখন যদিও, তবে শীঘ্রই দেখা হবে। তোমার জন্য প্রার্থনা করছি।’

৪৯ বছর বয়সী সাবা হলেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর এবং প্রয়াত মনসুর আলি খান পতৌদির দ্বিতীয় সন্তান। তাঁর ছোট বোন হলেন অভিনেত্রী সোহা আলি খান।
মামলা দায়ের পুলিশের
পুলিশ 'খুন বা খুনের চেষ্ট- সহ সশস্ত্র ডাকাতির' মামলা দায়ের করেছে। হামলাকারী ভবনের সিঁড়ি ব্যবহার করে যখন পালিয়ে যাচ্ছিল, তখন সিসিটিভিতে তার মুখও ধরা পড়েছে। তাকে ধরার জন্য ১০টি দল গঠন করা হয়েছে। সইফের গৃহকর্মী, যিনি প্রথমে আওয়াজ তোলেন, আর এই অনুপ্রবেশকারীকে আটকাতে গিয়ে যিনি নিজেও হাতে সামান্য আঘাত পান। পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। জানা গিয়েছে, এলিমা ফিলিপস ওরফে লিমা যিনি সেইসময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনিই প্রথমে অভিযুক্তকে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে দেখেন। তিনি অভিযুক্তকে থামানোর চেষ্টা করেন এবং হাতাহাতিতে তাঁর হাতে আঘাত লাগে। তার চিৎকার শুনে সইফ আলি খান এসে ওই হামলাকারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। অভিযুক্ত তার সঙ্গে ধারালো অস্ত্র বস্তু বহন করছিল এবং তা দিয়েই সইফকে ছুরিকাঘাত করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দেশের সমস্ত মেগা সিটির মধ্যে মুম্বই হল সবচেয়ে নিরাপদ শহর। এটি সত্য যে কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া দরকার এবং সেগুলির কারণে মুম্বইকে অনিরাপদ বলে অভিহিত করা অনুপযুক্ত হবে। এটি মুম্বাইয়ের ভাবমূর্তিকেও কলঙ্কিত করে। গোটা ঘটনায় প্রতিক্রিয়া এসেছে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের থেকে। তিনি নিদান দিয়েছেন অপরাধীকে ধরার, এবং মুম্বইয়ের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার।