নেটমাধ্যমে প্রায়শই পারিবারিক ছবি পোস্ট করে থাকেন সাবা আলি খান। বিভিন্ন সময়ের ট্রোলের শিকারও হন তিনি। যদিও খুব কম সময়ই ট্রোলের পালটা জবাব দিতে দেখা যায় তাঁকে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নেটমাধ্যমে পতৌদি পরিবারের মহিলাদের নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন সাবা। সেখানে সকলকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
ভিডিয়ো পোস্টে সইফ আলি খানের দ্বিতীয় স্ত্রী করিনা কাপুর খানের ছবিও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই পোস্টে কেন সইফের প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিং-এর ছবি নেই? এক নেটিজেনের প্রশ্নের পালটা জবাব দিতে ভোলেননি সাবা।
ইনস্টাগ্রামে একটি মন্তাজ শেয়ার করেন সাবা আলি খান। সেখানে তার মা শর্মিলা ঠাকুর, দাদার বৌ করিনা কাপুর খান, বোন সোহা আলি খান, ভাইঝি সারা আলি খান এবং পরিবারের আরও অন্যান্য সদস্যদের ছবি রয়েছে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শুভ নারী দিবস। ০৮.০৩.২০২২ সেই সমস্ত নারীদের জন্য, যারা শক্তি, বুদ্ধি, হাস্যরস এবং লিঙ্গ বৈষম্যে পার্থক্য তৈরির জন্য সংগ্রাম করছেন। এখানে... আপনাদের জন্য উদযাপন করা হচ্ছে! আজ এবং সর্বদা। পরিবার, বন্ধু এবং যারা নেই.. এখানে প্রত্যেকের জন্য।’
সাবার পোস্টে এক নেটিজেন প্রশ্ন ছোঁড়েন, ‘অমৃতাজি কোথায়?’ পালটা উত্তরে সাবা লেখেন, ‘বাড়িতে নিরাপদে ঘুমোচ্ছেন… তাই মনে হয়।' ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী তাকে আগুন এবং রাগী মুখের ইমোজি দিয়ে উত্তর দিয়েছেন।
অপর এক নেটিজেন সাবাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি অমৃতা সিংকে যোগ করতে ভুলে গিয়েছেন?’ মজা করে তাঁদের প্রশ্নের জবাবে সাবা লিখেছেন, ‘ওহো! অবশ্যই রাখতে হবে! মনে করানোর জন্য ধন্যবাদ। দয়া করে আমাকে ২০২৩ সালে মনে করিয়ে দেবেন.. যদি আপনি আমাকে ফলো করে থাকেন।’ সাবার এই পালটা জবাব আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়।
বয়সে ১৩ বছরের বড় অমৃতার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সইফ আলি খান। ১৯৯১ সালে নিকাহ সেরেছিলেন তাঁরা। সইফের তখন বয়স ছিল সবেমাত্র ২১ বছর। অমৃতার বয়স ছিল ৩৩। তাঁদের দুই সন্তান, সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খান।২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এরপর ২০১২ সালে করিনা কাপুরের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সইফ আলি খান। তাঁদের দুই ছেলে তৈমুর এবং জেহ। তবে বাবা হিসেবে সারা এবং ইব্রাহিমের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন সইফ।