বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > ‘আমারও সময় হয়ে এল’, সন্ধ্যার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

‘আমারও সময় হয়ে এল’, সন্ধ্যার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুশোকে গলা বুজে আসছে সাবিত্রীর।

একাধিক সিনেমায় সন্ধ্যার গানে লিপ দিয়েছেন সাবিত্রী। দু'জনের সম্পর্কও ছিল খুব মধুর। 

আরও এক বিরাট নক্ষত্রের পতন। ইহলোক ছেড়ে মঙ্গলবার রাতে চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। লতা মঙ্গেশকরের শোক যখন আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠতে চাইছিল সংগীতপ্রেমীরা, তখনই এল এই খবর। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু বড় ধাক্কা প্রবীণা অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি যেন এখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না, তাঁর প্রিয় সন্ধ্যাদি আর নেই। 

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বহু গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন সাবিত্রী। দু'জনের সম্পর্কও ছিল খুব কাছের। এক বাংলা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাবিত্রী জানিয়েছেন, মাস কয়েক আগেও কথা হয়েছিল তাঁদের। সন্ধ্যার বাড়িতে যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু আর যাওয়া হবে না। 

সাবিত্রী বলেন, ‘স্টুডিয়োপাড়়ায় যাঁর সঙ্গেই দেখা হত, আমার কথা জিজ্ঞাসা করতেন। আমাকে সবসময় গলা ঢেকে রাখতে বলতেন শাড়ির আঁচল বা মাফলর দিয়ে। এই কথাটাই বারবার মনে পড়ছে। আসলে উনি বিশ্বাস করতেন , যে কোনও শিল্পকলার জন্য গলা ঠিক রাখা খুব জরুরি। ওঁকে কোনও দিন মাফলার ছাড়া দেখিনি আমি।’

নিজের কথাপ্রসঙ্গে একসাথে আমেরিকায় পারফর্ম করতে যাওয়ার স্মৃতিও তুলে ধরলেন। সাবিত্রী নাটক করেছিলেন আর সন্ধ্যা গেয়েছিলেন গান। সাবিত্রী জানান, সন্ধ্যার গলায় একের পর এক গান শুনে যাচ্ছিল সেখানকার প্রবাসী বাঙালিরা। না নিজেরা চেয়ার ছেড়ে উঠছিলেন না সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে মঞ্চ ছাড়তে দিচ্ছিলেন। 

একের পর এক শিল্পীর মৃত্যু গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের উপরেও। একরাশ ব্যথা জড়ানো স্বরে তাই হয়তো জানিয়েছেন, ‘ওই দলেই চলে গিয়েছি। যা অবস্থা, আজ যে আছে, কাল সে নেই। সন্ধ্যাদির মতো আমারও সময় হয়ে এল!’

বন্ধ করুন