হয়ে গেল ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’র শেষ দিনের শ্যুট। ৩ বছর ধরে রমরমিয়ে চলছিল স্টার জলসার এই ধারাবাহিক। মা তারার চরিত্রে ছিলেন নবনীতা দাস। আর বামার চরিত্রে সব্যসাচী চৌধুরী। তবে ধারাবাহিক শেষে বিদায়ের সুর বামার গলায়। গলার কাছে আটকে থাকা কষ্টই যেন ধরা পড়ল ফেসবুকে তাঁর লেখা পোস্টের প্রতিটা শব্দে।
সব্যসাচীকে বামা নামেই চিনতে শুরু করেছিল সবাই গত ৩ বছরে। নিজেও মজা করতেন কখনও কখনও নিজের সেই বদলে যাওয়া নিয়ে। তবে দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছেন অফুরাণ। সেটে শেষ দিনের শ্যুটের পর সব্যসাচী লিখলেন, ‘আজ মহাপীঠ তারাপীঠের শুটিং শেষ করলাম। অন্য দিন লিখতে বসলেই লেখাটা চিউইং গামের মতন লম্বা হতেই থাকে। আর আজ আমি যাই লিখছি তাতেই ব্যাকস্পেস টিপছি। শব্দভাণ্ডারে যেন ছাতা পড়েছে, নিজেকে বড় অশিক্ষিত বোধ হচ্ছে।’
মন খারাপ গোটা সেটের। সকলেই সেট থেকে টুকরো টাকরা স্মৃতি কুড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন শেষ দিনে নিজেদের কাছে রেখে দেবেন বলে। সব্যসাচীই জানালেন সবটা। লিখলেন, ‘মণিকোঠায় মণি থাকে না, কিছু কুড়ানো স্মৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে মাত্র। আজ যে যেমন পেরেছে কুড়িয়েছে। এই তিন বছর ধরে আমি একটা কালো রঙের ভাঙ্গা কাপে চা খেতাম, আমাদের যিনি চা দিতেন সেই পিন্টুদা আমার ভাঙ্গা কাপটা সযত্নে নিজের বাড়ি নিয়ে গেছেন। সহপরিচালক বিপাশা আমার হাতের রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে গেছে ঠাকুরের সামনে রাখবে বলে। কেউ মায়ের ফুল নিয়ে গেছে আর কেউ বা মন্দিরের প্রদীপ।’
তিনি নিজে সাথে করে নিয়ে এসেছেন রক্তবস্ত্র এবং ত্রিশূল, সাথে ‘বড় মা’-র একটা ছবি। অভিনেতা লিখলেন, ‘আমার বেলুড়ের বাড়ির ছোট্ট ঠাকুর ঘরে আমার পাম্মার জিম্মায় ওরা থাকবে। তাদের যথাযথ মর্যাদা পাম্মার কাছেই পাবে বলে আমার ধারণা। কারণ কাল থেকে আমি শুধুই সব্যসাচী।’
তিনি নিজে সাথে করে নিয়ে এসেছেন রক্তবস্ত্র এবং ত্রিশূল, সাথে ‘বড় মা’-র একটা ছবি। অভিনেতা লিখলেন, ‘আমার বেলুড়ের বাড়ির ছোট্ট ঠাকুর ঘরে আমার পাম্মার জিম্মায় ওরা থাকবে। তাদের যথাযথ মর্যাদা পাম্মার কাছেই পাবে বলে আমার ধারণা। কারণ কাল থেকে আমি শুধুই সব্যসাচী।’|#+|
তবে সব্যসাচী যতই বেরিয়ে আসুক বামার খোলস ছেড়ে. দর্শক মনে তিনি রয়ে যাবেন যে চিরটাকাল বামা হয়েই তা নজরে এল কমেন্ট বক্সে চোখ রেখেই। মন খারাপের বার্তা যেমন আছে, তেমনই রয়েছে ভবিষ্যতের জন্য শুভাচ্ছা আর ভালোবাসা মাখা বার্তা।