বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Aindrila Sharma-Sabyasachi Chowdhury: ‘হাত মুচড়িয়ে হাত ধরার চেষ্টা করে..’, ঐন্দ্রিলার সবথেকে বড় মানসিক জোর সব্যসাচী

Aindrila Sharma-Sabyasachi Chowdhury: ‘হাত মুচড়িয়ে হাত ধরার চেষ্টা করে..’, ঐন্দ্রিলার সবথেকে বড় মানসিক জোর সব্যসাচী

ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে পোস্ট করেন সব্যসাচী।

Aindrila Sharma-Sabyasachi Chowdhury: শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ‘স্টিমুলেটিং থেরাপি’ দেওয়া হচ্ছে ঐন্দ্রিলাকে। সব্যসাচীর যে কোনও কথায় খুব ভালো সাড়া দিচ্ছেন অভিনেত্রী। দিনরাত হাসপাতালে তাঁর পাশে রয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।

কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা? তাঁকে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন অনুরাগীরা। জানা গিয়েছে, আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছেন অভিনেত্রী। সোমবার ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছে তাঁকে।

ঐন্দ্রিলার পাশে ছায়ার মতো রয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। রাত কাটছে হাসপাতালেই। ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা জানিয়েছেন, সব্যসাচী চৌধুরীর উপস্থিতিতে ‘খুব ভালো সাড়া’ দিচ্ছে তাঁর মেয়ে। সোমবার বিকেলের দিকে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করেন সব্যসাচী।

অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী লিখেছেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে।’

আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশনের বাইরে, চলছে ‘স্টিমুলেটিং থেরাপি’, এখন কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা

আরও লেখেন, ‘আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।’

ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সব্যসাচীর ফেসবুক পোস্ট (স্ক্রিনগ্র্যাব)
ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সব্যসাচীর ফেসবুক পোস্ট (স্ক্রিনগ্র্যাব)

আজকাল ফেসবুকে খুব একটা পোস্ট করেন না সব্যসাচী। জানিয়েছেন, কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না তাঁর। কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক্ থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।’

শেষে জানিয়েছেন, ‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।’ (অপরিবর্তিত)

প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা জানিয়েছেন, কেউ পাশে গিয়ে ঐন্দ্রিলার হাতে হাত রাখলে তা ধরার চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও জ্ঞান ফেরেনি অভিনেত্রীর। তাঁর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কামনা করছেন তাঁর সহকর্মী, ভক্ত এবং শুভানুধ্যায়ীরা।

বন্ধ করুন