গত বৃহস্পতিবার সইফ আলি খানের বাড়িতে যে ঘটনাটি ঘটে, তাদের রীতিমতো উদ্বিগ্ন গোটা পরিবার। বাড়ি থেকে কিছু নিতে না পারলেও ডাকাতের হাতে রীতিমতো গুরুতর জখম হয়েছিলেন অভিনেতা। তবে অপারেশনের পর তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন বাড়িতে।তবে বান্দ্রা এলাকায় যে বাড়িতে সইফ থাকেন, সেটি তো নামমাত্র। নবাব পরিবারের রাজকীয় সম্পত্তি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে গুরগাঁওয়ে।
পাতৌদি পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে আর ৫ জন অভিনেতা থেকে চিরকালই আলাদা সইফ। নবাব পরিবারের পুত্র বলে কথা। শুধু অভিনয় থেকে নয়, উত্তরাধিকার হিসেবে অতিথি পেয়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। কোটি টাকার সম্পত্তির মধ্যে অন্যতম একটি হলো গুরগাঁওয়ের ঐতিহাসিক রাজকীয় ভবন, যা বেশিরভাগ সময় সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় এসে দেশে পালানোর পরিকল্পনা, তবে কেন বাংলাদেশে ফিরতে পারেনি সইফের হামলাকারী?
হরিয়ানার গুরগাঁও জেলায় অবস্থিত সইফের পৈতৃক এই বাড়ি পরিচিত ‘ইব্রাহিম কোঠি’ নামে। ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের এই রাজকীয় সম্পত্তি ১০ একর বিঘা জমি জুড়ে বিস্তৃত। এই প্রাসাদে প্রায়শই পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে আসেন নবাব পুত্র।
প্রাসাদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
১৯০০ সালে এই বিলাসবহুল প্রাসাদটি নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। প্রাসাদটি ব্রিটিশ স্থপতি রবার্ট টর রাসেল এবং অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি কার্ল মাল্টিজ ভন হেন্টজ দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল। ১৯৩৫ সালে পাতৌদির শেষ শাসক নবাব ইফতিখার আলি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
এই প্রাসাদে ১৫০টি কক্ষ রয়েছে, যার মধ্যে ৭টি শয়নকক্ষ, ৭টি ড্রেসিংরুম, ৭টি বিলিয়ার্ড রুম, ১টি আউটডোর পুল, একটি বিশাল বড় গার্ডেন এবং একটি বিশাল বড় হলরুম রয়েছে। তবে এই প্রাসাদে নবাব পরিবারের সদস্যরা যে শুধুমাত্র ছুটি কাটাতে যান তা নয়, মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন সিনেমার জন্য এই প্যালেস ভাড়া দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিকল কিডনি! চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারছেন না শাহরুখ-ভিকির সহ-অভিনেতা, অর্থ সাহায্যের আবেদন বন্ধুর
আরও পড়ুন: বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছেড়ে হলুদ-কালো ট্যাক্সিতে ঘুরছেন? সলমন নামতেই কেন চিৎকার জুড়লেন ট্যাক্সি চালক?
আমির খান অভিনীত ‘রং দে বাসান্তি’, রণবীর কাপুর অভিনীত ‘অ্যানিম্যাল’, শাহরুখ খান অভিনীত ‘বীর-জারা’ সহ বহু ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং হয়েছে এই প্যালেসে।