গত সপ্তাহে সইফ আলি খান ও করিনা কাপুরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা নিয়ে বিতর্ক যেন থামছে না! অভিনেতার বান্দ্রার ১২ তলার ফ্ল্যাটে দুষ্কৃতী কীভাবে ঢুকল, এবং সইফকে ৬ বার চুরি মেরে পালালো তা নিয়ে তাজ্জব অনেকেই। তবে এই ঘটনার পর সইফ-করিনাকে সাময়িক পুলিশি নিরাপত্তা দিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশে নাগরিক শরিফুল ইতিমধ্যেই পুলিশের হেফাজতে। আহত হওয়ার পাঁচ দিন হাসপাতালে কাটাতে হয় সইফকে। মঙ্গলবারই বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। আরও পড়ুন-থাইয়ের উপর আস্ত ডায়াগ্রাম! স্কার্ট সরিয়ে..,পরীক্ষায় টুকলি করতেন খুশি! পিছিয়ে থাকেননি আমির পুত্র
সইফ আলি খান ও তাঁর পরিবার পুলিশি নিরাপত্তা
মঙ্গলবার সইফকে লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিনেতা তাঁর বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে এসেছেন। ওইদিনই হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে আসে এক্সক্লুসিভ তথ্য, জানা যায় অভিনেতা তাঁর পরিবারের সুরক্ষার দায়িত্বভার তুলে দিয়েছেন রণিত রায়ের সিকিউরিটি এজেন্সির উপর। সেই কথায় সিলমোহর দেন খোদ রণিত রায়। এবার জানা গেল, সইফ, করিনা এবং তাদের দুই সন্তান তৈমুর ও জেহকে সাময়িক নিরাপত্তা দিচ্ছে মুম্বই পুলিশ। এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ই-টাইমেসর রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিবারের সুরক্ষার দায়িত্ব আপতত দু'জন কনস্টেবল পদমর্যাদার অফিসারকে এবং তারা যখনই বাইরে যাবেন তখন তাঁরা তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে বান্দ্রা থানা থেকে তারকাদের বাড়ির আশাপাশে টহল দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় বহু অভিনেতা এবং হাই-প্রোফাইল সেলিব্রিটিদের আবাসস্থল। কিন্তু গত কয়েক মাসে সেখানে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সইফের ওপর হামলা, সলমন খানের বাড়িতে গুলি, বাবা সিদ্দিকির হত্যার মতো ক্রাইম ঘটেছে বান্দ্রায়। পুলিশ সূত্রে খবর, শহরতলির ভিজিটর স্পটগুলিতেও প্রতি ঘণ্টায় নজরদারি চালানো হবে।
সইফিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় রণিত রায়ের এজেন্সি
হামলার পর থেকেই বান্দ্রায় নিজের বাড়িতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন সইফিনা। অভিনেতা থাকেন বান্দ্রার (পশ্চিম) একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে। তিনি বাড়ি ফেরার কয়েকদিন আগে প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য একটি নিরাপত্তা সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়। অভিনেতা রনিত রায়ের মালিকানাধীন সংস্থা আপতত পতৌদির নবাব পরিবারের সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে।
মেডিক্লেম বিতর্ক
লীলাবতি হাসপাতালে ৫ দিন ভর্তি ছিলেন সইফ। ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা গেছে সইফ তাঁর চিকিত্সার প্রত্যাশিত ব্যয়ের ভিত্তিতে ৩৫,৯৫,৭০০ টাকা মেডিকেল ইন্সুরেন্স দাবি করেছিলেন। তাঁর বিমা প্রদানকারী সংস্থা নিভা বুপা হেলথ ইনসিওরেন্স ২৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে। শেষ পর্যন্ত অভিনেতার হাসপাতালের বিল দাঁড়ায় ২৬ লক্ষ টাকা। বড়লোকদের অতি সহজেই বিরাট অঙ্কের স্বাস্থ্যবীমা পাওয়া নিয়ে সোশ্যালে চর্চা-বিতর্ক জারি রয়েছে।
সইফ আলি খানের উপর হামলা
সইফের বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই নাকি প্রবেশ করেছিল শরিফুল। ওটা সইফের বাড়ি সে সম্পর্কে ধারণা ছিল না তার, পুলিশি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের যুবক। সইফ তার কর্মী এবং পরিবারকে অনুপ্রবেশকারীর হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে। তখনই বেপরোয়াভাবে শরিফুল ছুরি চালায়। মঙ্গলবার পায়ে হেঁটে হাসিমুখে বাড়িতে প্রবেশ করেন সইফ। যা দেখে খুশি ভক্তরা।