রাজ কাপুরের ১০০ বছর উপলক্ষ্যে এক হয়েছিল পুরো কাপুর পরিবার। তাঁদের সেই অনুষ্ঠানের ঝলক এখন সমাজ মাধ্যমের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আনন্দ অনুষ্ঠানের মাঝেই হঠাৎ করে তাল কাটে সইফ-রণবীরের মধ্যে। জামাই বাবু সইফ আলি খানের সঙ্গে শ্যালক রণবীর কাপুরের সেই ঝগড়ার ছবি বন্দি হয় পাপারাৎজিদের ক্যামেরায়। তারপর আর কী? দেখতে দেখতে সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো হয় ভাইরাল। সইফ-রণবীরের কাজিয়া দেখতে ভিড় জমান নেটাগরিকরা। কিন্তু আসল ঘটনা ঠিক কী?
প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার ১০০তম বর্ষপূর্তি পেরিয়েছেন সদ্য। সেই উদযাপনেই সামিল হতে এক হয়েছিলেন কাপুর পরিবারের সদস্যরা। কাপুর পরিবারের বউমা আলিয়া ভাটের মতো এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাপুর পরিবারের মেয়ে করিনার বর সইফ আলি খানও। সেখানেই মেজাজ হারাতে দেখা যায় রণবীর-সইফকে। ‘ফিল্মিজ্ঞান’-এর শেয়ার করা ভিডিয়োয় বেশ গম্ভীর মুখে দেখা যায় আলিয়াকেও। ভিডিয়ো দেখেই বোঝা যায় কোনও এক কারণে তাঁরা বেশ বিব্রত।
আরও পড়ুন: ‘ওর ইচ্ছে ছিল মায়ের বিয়েতে নিত-কনে হবে’, বেশি বয়সে মল্লিকাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে সাহস দেয় মেয়েই
ভিডিয়োয় দেখা যায় রণবীর কোথাও নিয়ে যেতে চাইছিলেন সইফকে। কিন্তু তখন সেখান থেকে যেতে চান না সইফ। এ দিকে নাছোড় রণবীর জামাইবাবুকে নিয়েই যাবেন। তখন সইফ বেশ বিরক্ত হয়ে পড়েন। ভিডিয়োতে সইফ রণবীরকে কড়া ভাষায় 'ওকে' বলছেন সেই ছবিও ধরা পড়ে। এই ঘটনা নিয়েই আপাতত জোর চর্চা চলছে বলিউডের অন্দরে। যদিও অনুষ্ঠানের শেষে এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি দুই অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, দাদু রাজকাপুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘রাজ কাপুর ১০০ চলচ্চিত্র উৎসব’-এর জন্য পুরো কাপুর পরিবার কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এদিনের অভিজ্ঞতাও অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন রণবীর।
আরও পড়ুন: 'ভালো ভালো সুযোগ পেয়ে ছেড়েছি' জনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আফসোস বিপাশার
রণবীর কাপুর জানিয়েছিলেন, তাঁরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে বেশ নার্ভাস ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন তাঁদের দেখা হয় তখন ছবিটা পুরো অন্যরকম হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী সকলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। তাঁর উদার আচরণে তিনি কাপুর পরিবারের সব দ্বিধা কাটিয়ে দিয়েছিলেন। রণবীরের কথায়, ‘ওঁর সঙ্গে কথা বলে আমাদের ভীষণ ভালো লেগেছে। ওই সময়টা আমরা খুব উপভোগ করেছি। আমরা ওঁকে অনেক ব্যক্তিগত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি আমাদের সঙ্গে একদম বন্ধুত্বপূর্ণভাবে কথা বলেছিলেন। ওঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা খুব নার্ভাস ছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে এত ভালো ব্যবহার করেন যে আমাদের সমস্ত দ্বিধা কেটে যায়। আমি সত্যিই ওঁকে অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
অন্যদিকে, সইফ আলি খানও সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি সংসদের কাজ সেরে হাজির হয়েছিলেন, তাই আমি ভাবছিলাম যে তিনি হয়ত ক্লান্ত থাকবেন, কিন্তু মোদীজির মুখের উষ্ণ হাসি ছিল অটুট ছিল। তিনি আমাদের সকলের কথা মন দিয়ে শুনেছিলেন।’