গত বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় সইফ আলি খানের বাড়িতে আচমকাই ঢুকে পড়ে এক আততায়ী। বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে থাকলেও চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায় অভিনেতার। প্রাথমিক হাতাহাতি হওয়ার পর আচমকাই ছুরি মেরে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে নিয়ে আসা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানেই তড়িঘড়ি শুরু হয়ে যায় অপারেশন।
রবিবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, আততায়ী বাংলাদেশের বাসিন্দা। মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের ওই ব্যক্তিকে মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে একটি স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ৭০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চিরুনি তল্লাশি করার পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: ‘বসন্ত উৎসব বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি’, লিলুয়াবাসীর হুজ্জুতি, চরম সিদ্ধান্ত ইমনের!
আরও পড়ুন: ৮৩ কোটিতে বাড়ি বিক্রি করছেন অমিতাভ! জানেন কেনা দাম কত ছিল? এই বাড়িতে ভাড়া থাকেন কৃতিও
সইফ আলি খানের অপারেশন হওয়ার পর তাঁকে রাখা হয় আইসিইউতে। পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিন সকাল বিকেল নিয়ম করে দেখা করতে আসছেন অভিনেতার সঙ্গে। অভিনেতা সঙ্গে দেখা করেছেন অমৃতা আরোরা, মালাইকা আরোরা, অর্জুন কাপুর সহ আরও তারকা। এবার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এলেন রানি মুখোপাধ্যায়।
রানি সইফের বহুদিনের বন্ধু। হাম তুম, থোড়া পেয়ার থোড়া ম্যাজিক, তারা রাম পাম, এলওসি কার্গিলের মতো একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন এই দুই তারকা। খুব স্বাভাবিকভাবেই দুজনের মধ্যে রয়েছে গভীর বন্ধুত্ব। রবিবার সন্ধ্যায় তাই বন্ধুকে দেখতে সোজা লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছে যান রানি।
রানি এই দিন পরেছিলেন একটি হোয়াইট রঙের শার্ট, নীল রঙের ঢোলা প্যান্ট। হাতে ছিল একটি বড় ব্যাগ। চোখে চশমা, চুল পনিকেল করে বাঁধা। এই দুর্দিনে বন্ধুর পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েই হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। রানির চোখে মুখে ছিল উত্তেজনার ছাপ।
আরও পড়ুন: ‘দুটো পতিতালয়ে ঘোরার পর সঞ্জয়কে ডাকা হয়েছিল…’, হল না ফাঁসি, আরজি কর রায়ে খুশি নন রুদ্রনীল
আরও পড়ুন: কোল্ডপ্লের কনসার্টে নিজের প্রশংসা শুনে আল্পুত শাহরুখ, 'তুমি কোটিতে এক…' ক্রিস মার্টিনকে বললেন বাদশা!
সইফ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দিবারাত্র হাসপাতাল-ঘর করছেন করিনা। এই দুর্দিনে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে পত্নীধর্ম বজায় রাখছেন তিনি। সঙ্গে সামলাচ্ছেন দুরন্ত ২ ছেলেদের। সইফ সুস্থ হয়ে গেলেও আপাতত তিনি থাকবেন চিকিৎসকদের নজরদারিতেই। সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও যেভাবে সইফ আলি খানের বাড়িতে আক্রমণের ঘটনা ঘটল, তাতে কিছুটা হলেও মুম্বইয়ের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আপাতত অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের জন্য সিটি পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুম্বই আদালত।