হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে নিয়ে রাতদুপুরে ফের একবার সইফ আলি খানের বাড়িতে হাজির হয়েছিল মুম্বই পুলিশ। উদ্দেশ্যে ঘটনার পুননির্মাণ। কাজ শেষে ২০ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার রাতেই ফের শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গাড়িতে তুলে নিয়ে ফিরে যায় পুলিশ। তবে শুধু সইফের বাড়িতেই নয়, জানা যাচ্ছে, তদন্তের স্বার্থে একাধিক জায়গায় শরিফুলকে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করতে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, বান্দ্রায় সইফের আবাসনের পর ন্যাশনাল কলেজ বাসস্টপ ও বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনেও শরিফুলকে নিয়ে হাজির হয়েছিল পুলিশ। পরে পুলিশ ফের তাকে জিপে তুলে নিয়ে গিয়ে ফিরে যায়। ANI-এর ক্যামেরায় উঠে এসেছে সেই ভিডিয়ো। যেখানে সইফের শরিফুলকে সৎগুরু শরণ বিল্ডিং থেকে বের হতে দেখা যায় মুম্বই পুলিশের জিপকে।
এর আগে থানে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সইফের উপর হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ রোহিলা আমিন ফকিরকে। জানা যায়, জেরায় ইতিমধ্যেই নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ৩০ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি। মুম্বইয়ের আদালত শরিফুলকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন-‘ভাড়া বাকি আছে নাকি?’ দামি পোশাক পরে শেষপর্যন্ত কিনা বেসনের বিজ্ঞপন করছেন করণ-অনন্যা!
মামলা সম্পর্কে
পুলিশের বিবৃতি অনুসারে, এই অপরাধের তদন্তে পুলিশ বিভিন্ন তদন্তকারী দল গঠন করেছিল। শরিফুল ইসলাম শেহজাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (বিএনএস) এর ৩১১, ৩১২, ৩৩১(৪), ৩৩১(৬) এবং ৩৩১(৭) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, থানের হিরানন্দানি এস্টেটে আটক হওয়ার সময় নিকটবর্তী গ্রামে পালিয়ে যাওয়ার কথা ঠিক করে রেখেছিল অভিযুক্তের। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা।
১৬ জানুয়ারি কী ঘটে?
শরিফুল ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে চুরির উদ্দেশ্যে অভিনেতা সইফ আলি খানে অ্যাপার্টমেন্টে ঢোকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, যে ভবনে সইফ আলি খান ও তাঁর স্ত্রী কারিনা কাপুর তাঁদের সন্তান ও গৃহকর্মীদের সঙ্গে থাকেন, সেই ভবনের সপ্তম-আট তলায় সিঁড়ি বেয়ে উঠেছিলেন শরিফুল। ডাক্ট এরিয়ায় ঢুকে পাইপ বেয়ে ১২ তলার উঠে বাথরুমের জানলা দিয়ে অভিনেতার ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর তিনি বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসেন, যেখানে অভিনেতার কর্মীরা তাকে দেখতে পান। আর এরপরই ধারাবাহিকভাবে ঘটনাগুলি ঘটে যায়।
সইফ
৫৪ বছর বয়সী অভিনেতাকে এই হামলায় একাধিকবার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পরে তাঁকে নিকটবর্তী লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন পাঁচ ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয় সইফের। তবে আপাতত তিনি অনেকটাই সুস্থ বলে জানিয়েছে সইফের টিম।