সইফ মামলায় এবার নয়া মোড়। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের হাতের আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলে গেল ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপ। যদিও এখনও ফাইনাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ, তবে শরিফুল নামের এই বাংলাদেশি আততায়ী যে মূল অভিযুক্ত তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।
শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশের বাসিন্দা যিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিজয় দাস নামে বসবাস করছিলেন। গত মাসের ১৬ তারিখ অভিযুক্ত এই ব্যক্তি আচমকাই হামলা করে সইফ আলি খানের বাড়িতে। জেহর ন্যানি প্রথমে অভিযুক্ত কে দেখতে পান এবং চিৎকার করে ডাকেন সকলকে।
আরও পড়ুন: লাভিয়াপ্পা- এ খুশি-জুনায়েদের অভিনয়ে মুগ্ধ জাভেদ আখতার, ধর্মেন্দ্র, কাজল
পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে থাকলেও ন্যানির চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসেন সইফ। প্রাথমিক হাতাহাতির পর আচমকাই অভিনেতাকে ৬ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই অভিযুক্ত। সইফ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সেই ব্যক্তি।
সইফকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় লীলাবতী হাসপাতালে। অপারেশন করে ২.৫ ইঞ্চির ছুরি অভিনেতার শরীর থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। টানা এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর আপাতত অভিনেতা অনেকটাই সুস্থ। আছেন বাড়িতে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে অভিষেককে চুমুতে ভরালেন ফারাহ খান, হতবাক হয়ে কী করলেন বার্থডে বয়?
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন্স উইকেন্ডেও বাড়ি থাকার প্ল্যান? সঙ্গীকে নিয়ে OTT-তে দেখুন এই ৬ সিনেমা
সইফ আলি খানের বাড়িতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার জন্য চিরুনি তল্লাশি শুরু করে মুম্বই পুলিশ। বান্দ্রা স্টেশন থেকে ধরা হয় অভিযুক্তকে। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, অভিযুক্ত বাংলাদেশের বাসিন্দা। নাম পরিবর্তন করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। তবে অভিনেতার বাড়িতে কেন হামলা করেছিল অভিযুক্ত, তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সইফ সুস্থ হয়ে ফের ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ান। আসন্ন সিনেমা জুয়েল থিফ: দ্যা হিস্ট বিগিনস সিনেমা ট্রেলারের জন্য এখন তিনি ভীষণ ব্যস্ত। এই সিনেমায় জগদীপ আহলাওতের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন তিনি।