শুক্রবার গভীর রাতে পার্টি শেষে বাড়ি ফিরে পাপারাৎজিদের উপর মেজাজ হারান সইফ আলি খান। বেবো-সইফের বাড়ির বাইরে হামেশাই ক্যামেরা তাক করে বসে থাকে পাপারাৎজিরা। ওই দিন বিল্ডিং কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল ছবি শিকারিরা। করিনার সঙ্গে মালাইকা অরোরার মায়ের বার্থ ডে পার্টি এনজয় করে ফিরছেন সইফ, বাড়ি এসেও দেখেন মিডিয়ার ভিড়। শুধু তাই বিল্ডিং কমপ্লেক্সের ভিতর ক্যামেরা নিয়ে তারকা দম্পতির পিছু করছিল পাপারাৎজিরা। তাতেই চটে গিয়ে সইফ বলে ওঠেন, ‘একটা কাজ করুন, আমাদের বেডরুমে চলে আসুন’।
এরপরই গুজব রটে যায় বিল্ডিং-এর সিকিউরিটি গার্ডকে নাকি চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছেন সইফ। গোটা বিষয় নিয়ে এবার সাফাই দিলেন পতৌদির নবাব। অভিনেতা বলেন, ‘বিল্ডিং-এর সিকিউরিটি গার্ডকে মোটেই ছাঁটাই করা হয়নি, ওই ঘটনায় তার কোনও দোষ ছিল না। না, আমরা কোনও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি পাপারাৎজিদের বিরুদ্ধে। কারণ আমরা তেমনটা চাই না। যদিও ওরা নিয়ম বিরুদ্ধভাবে একটা প্রাইভেট প্রপার্টির ভিতর ঢুকে পড়েছিল। সিকিউরিটি গার্ডকে অগ্রাহ্য করে আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়ে ২০টা ক্যামেরা আর লাইট নিয়ে হামলে পড়াটা মোটেই শোভনীয় আচরণ নয়। প্রত্যেকের নিজেদের সীমা মনে রাখা উচিত’।
সইফ আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় পাপারাৎজিদের সঙ্গে সহযোগিতা করি। আমরা ওদের ব্যাপারটা বুঝি, কিন্তু সেটা বাড়ির বাইরে, গেটের বাইরে। তা না হলে সীমারেখা আর থাকল কই? সেই কারণেই আমি বেডরুমের প্রসঙ্গ টেনেছিলাম। কারণ ওরা ইতিমধ্যেই সীমা পার করে গিয়েছিল। গোটা বিষয়টা খুবই বিরক্তিকর’।
শুধু সইফ-করিনাই নয়, তাঁদের দুই পুত্র তৈমুর এবং জেহ-ও পাপারাৎজিদের ফেবারিট। স্কুলেও রেহাই নেই তাঁদের। অনেক সেলেব দম্পতির মতো ক্য়ামেরার আড়ালে রেখে বাচ্চা মানুষ করেননি সইফিনা, তবে পাপারাৎজিদের বাড়বাড়ন্ত কখনও কখনও ভাবনায় ফেলে এই বাবা-মা'কে। এই নিয়ে বছর খানেক আগে বিরক্তি প্রকাশ করে সইফ বলেছিলেন, ‘লোকে ওদের স্কুলে ঢুকে পড়ছে, এক্সট্রা কারিকুমলারের ক্লাসে ঢুকে ছবি তুলছে, এগুলো ঠিক নয়। কোথাউ একটা দাঁড়ি টানা উচিত।’ সইফের বক্তব্য ‘যদি লোক এটা (তৈমুরের ছবি দেখা) পছন্দ করে, মিডিয়া এটা পছন্দ করে, আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে আমি কখনও কারও বাচ্চার প্রতি এত মনোযোগী হব না।’
আরও পড়ুন-শাহরুখ-রানির সেক্স সিন নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল আদিত্যর, তুমুল ঝগড়া বাঁধে করণের সাথে