সোমবার ১৬ অগস্ট ৫১-এ পা দিলেন সইফ আলি খান। প্রায় তিন দশকের কেরিয়ারে এত বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় খুব বেশি বলি-তারকা করেননি বললেই চলে। চকোলেট বয় নায়ক থেকে শুরু করে নিষ্ঠুর ভিলেন, ঐতিহাসিক চরিত্র কিংবা বন্দুক চালানো গ্যাংস্টার অথবা ভারতীয় গুপ্তচর। টিনসেল টাউনে প্রথম সারির নায়কের তালিকায় থাকা সত্বেও একাধিক ছবিতে বাবার ভূমিকায় অভিনয় করতেও পিছপা হননি তিনি। তবে সইফ বলতেই বেশিরভাগ দর্শকের মনে ভেসে ওঠে এক ছটফটে, চঞ্চল প্রেমিকের মুখ যে সম্পর্কে থাকলেও দায়িত্বজ্ঞানহীন। সইফও বুঝেছিলেন সেকথা। তাই একটা সময় হাঁফিয়ে উঠেছিলেন সেরকম প্রেমিকের চরিত্রে ক্রমাগত অভিনয় করতে।
'হাম তুম', 'লাভ আজ কাল', 'ককটেল', 'হ্যাপি এন্ডিং' এর মতো সুপারহিট ছবিতে সইফের এই ধরণের ইমেজ দর্শকের মনে পাকাপাকি গেঁথে যায় একটা সময়। তার কারণ অবশ্যই ছবির জমাটি গল্প এবং সইফের মনমাতানো অভিনয়। তবে ছাড়েননি সমালোচকের দল। একটা সময় সইফ নিজেও হাঁফিয়ে ওঠেন নিজের এই বিশেষ ইমেজ দেখতে দেখতে। তাই একটু অন্যধরণের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির হতে শুরু করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে কিছু ছবি না চললেও বেশিরভাগ তারিফ কুড়িয়েছে দর্শক ও সমালোচকদের। পর্দায় নিজের ওই চ্যাংড়া ছোঁড়া, ভীতু ও দায়িত্বহীন প্রেমিক ইমেজের ব্যাপারে সইফ একবার বলেছিলেন একসময় নিজেকে পর্দায় ওই একই ধরণের ভূমিকায় দেখতে দেখতে তিনি নিজেও একটু 'বোর' হয়ে যাচ্ছিলেন। বলা ভালো হাঁফিয়ে উঠেছিলেন। হাসতে হাসতে বলেছিলেন, 'আরে বাবা, আমি তো জীবনে দু'বার বিয়ে করেছি। একাধিক সন্তানও আছে। তাহলে কী করে মানুষ হিসেবে আমি দায়িত্বজ্ঞানহীন হবো? অথচ ছবিতে এসব...'
প্রসঙ্গত নয়ের দশকে অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সইফের। অবশ্য ২০০৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। সারা ও ইব্রাহিম তাঁদেরই দুই সন্তান। এরপর ২০১২ সালে করিনা কাপুরের সঙ্গে ফের একবার চার হাত এক করেছেন এই বলি-তারকা। তাঁদের সুই সন্তানের নাম তৈমুর এবং জে।