গত বৃহস্পতিবার সইফ-করিনার বান্দ্রার বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে। পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর জখম হন অভিনেতা। ৬ বার তাঁর উপর ছুরির কোপ মারে দুষ্কৃতী। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ রোহিলা আমিন ফকির নামের এক বাংলাদেশি। আরও পড়ুন-৬ বার ছুরির কোপ! হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন, সইফের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন এই অভিনেতা
পুলিশি তদন্ত চলছে, এর মাঝেই মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সইফ। তবে বাড়ি ফেরবার আগে হাসপাতালে ভজন সিং রানার সঙ্গে দেখা করেন বলিউড অভিনেতা। গত কয়েকদিনে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন মুম্বইয়ের অটো চালক ভজন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ভজনই নিজের অটোতে রক্তাক্ত সইফকে পৌঁছে দিয়েছিলেন লীলাবতী হাসপাতাল। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগেই ভজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে ধন্যবাদ জানান অভিনেতা।
ভজন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করলেন সইফ
এক্স-এ ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে সইফ ও ভজন একসঙ্গে ছবি তুলছেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে সইফ ভজনকে জড়িয়ে ধরে হাসপাতালের বিছানায় বসে হাসছেন। অন্যটিতে তাদের একসাথে দাঁড়িয়ে ক্যামেরার জন্য পোজ দিতে দেখা গেল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে অটোচালক, সইফের মা শর্মিলা ঠাকুর সহ পরিবারের অন্যদের সাথেও দেখা করেছেন এবং সবাই তাঁকে ওই রাতে দ্রুত সইফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ছবিগুলি লীলাবতী হাসপাতালে তোলা বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে ১৬ জানুয়ারি ভোরে ভর্তি হয়েছিলেন সইফ। পাঁচদিনের মাথায় ছাড়া পান অভিনেতা।
বাংলাদেশি শরিফুল অবৈধভাবে ভারতে থাকছিলেন। হামলাকারী পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, সইফের খপ্পর থেকে নিজেকে মুক্ত করতে অভিনেতার পিঠে ছুরি মেরেছিল সে। রাত আড়াইটে নাগাদ জেহ-র ন্যানি সবার প্রথম ওই চোরকে দেখতে পায়। তাঁর চিৎকার শুনেই ছেলের ঘরে ছুটে আসেন সইফ। হামলাকারী যে বাথরুমের জানালা দিয়ে ঘরে ঢোকেছিল সেখান থেকেই পালাতে সক্ষম হয় এবং পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে তিন দিন সময় নেয়।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে ওই চালক বলেন, ‘আমি রাতে গাড়ি চালাই। রাত ২-৩টে নাগাদ দেখি এক মহিলা অটো ভাড়া করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কেউ থামেননি। গেটের ভেতর থেকে রিকশার ডাকও শুনতে পেলাম। আমি একটা ইউ-টার্ন নিয়ে গেটের কাছে আমার গাড়ি থামালাম। রক্তাক্ত এক ব্যক্তি বেরিয়ে এলেন, সঙ্গে আরও ২-৪ জন। তাঁরা তাকে অটোতে তুলে লীলাবতী হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওদের ওখানে নামিয়ে পরে জানতে পারি উনি সাইফ আলি খান। আমি তার ঘাড় ও পিঠ থেকে রক্তক্ষরণ হতে দেখেছি।’ অটো চালক জানিয়েছিলেন, সইফ ওইদিন ভাড়া দেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না, এবং তিনি কোনও টাকও নেননি।
আরও পড়ুন-হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সইফ, হাত নাড়লেন পাপারাৎজিদের দিকে! কোথায় থাকবেন এখন
সম্প্রতি এক সংস্থার তরফে ভজনকে ১১ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সইফ-করিনার তরফে ভজন কোনওরকম আর্থিক পুরস্কার পেয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে রক্তেভেজা সইফের সঙ্গে ওইদিন কোনও ছবি তোলার আবদার জানাননি তিনি, সেই ইচ্ছেপূরণ হল এবার। মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার পর সইফের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ।