'লাইট,ক্যামেরা,অ্যাকশন'-এর বাইরে জাঁকজমক ভরা পার্টি,বিতর্ক এবং রঙিন জীবনযাপনের বাইরে মুখ ফেরান না বলি-তারকারা, এই প্রচলিত পুরোনো ধ্যান ধারণাকে রীতিমতো হেলায় ঠেলে ফেলে দিয়েছেন সইফ আলি খান। দক্ষ অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই চুটিয়ে পোলো খেলেন সইফ। মাঝেমধ্যেই কাজ থেকে 'ব্রেক' নিয়ে ঘুরতে চলে যান দেশে বিদেশে কিংবা নিজের পোষ্য ঘোড়াদের নিয়ে সময় কাটান তিনি। এবং অসম্ভব বই পড়েন। দেশ,বিদেশের নানান গল্প,উপন্যাস,ক্ল্যাসিকস এবং কবিতার প্রতি ভীষণ দুর্বলতা রয়েছে সইফের। এমনকি শ্যুটিংয়ের ফাঁকে সময় কাটানোর জন্য হাতে বই নিয়ে বসে পরেন তিনি।
গতবছর লকডাউনের সময় বাড়িতে বেশিরভাগ সময় বই পড়েই কাটিয়ে দিয়েছিলেন সইফ,জানিয়েছিলেন স্ত্রী করিনা। ঘরের এক কোণায় স্বামীর মন দিয়ে বই পড়ার ছবিও পোস্ট করেছিলেন করিনা।সেই ছবিতে নেটিজেনদের চোখ এড়ায়নি সইফের সংগ্রহে থাকা সারি সারি বই ভর্তি আলমারির। এককথায় এই বলি-তারকার 'বইপোকা' হওয়ার কথা বলিউডে সর্বজনবিদিত।
কিন্তু এই সইফই কখনও কবিতার বই দেখলেই পালিয়ে যেতেন। কবিতার প্রতি ভীষণ অনীহা ছিল তাঁর। পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখে সেকথা স্বীকারও করেছিলেন এই তারকা! সম্প্রতি,ভাইরাল হওয়া সেই সাক্ষাৎকারের অংশে এই 'বইপোকা'-র মুখে একথা শুনে যারপরনাই অবাক নেটিজেনরা। বহু পুরোনো সেই সাক্ষাৎকারে যুবক সইফকে জনৈক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন তিনি কি ধরণের কবিতা পড়তে ভালোবাসেন? কোনও প্রিয় কবি আছে কি না ? জবাবে হাসতে হাসতে অভিনেতার জবাব ছিল,' ধুর,এটা কোনও বয়স হলো কবিতা পড়ার ? তবে আমার ঠাকুমা অসম্ভব বই পড়তেন,বাবাও কবিতা খুব ভালোবাসেন!' সইফের করা ওই মন্তব্যে দেখে ও শুনে যারপরনাই অবাক নেটিজেনরা। কেউ কেউ কমেন্ট করেন,' কী ছিল আর কী হয়েছেন! সইফের ওপর গবেষণা করলে মন্দ হয় না।'
প্রসঙ্গত, সইফের বাবা প্রয়াত মনসুর আলি খান পতৌদি একজন আপামর কবিতা প্রেমিক ব্যক্তি ছিলেন। সম্প্রতি,এক সাক্ষাৎকারে সেকথা জানিয়েওছেন সইফের মা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। মজার ছলে তিনি আরও জানিয়েছিলেন প্রেমপর্ব চলার সময় মির্জা গালিবের কবিতা টুকে শর্মিলাকে সেসব নিজের নামে বলে চালাতেন মনসুর!