বলিউড ‘খানদান’-এর অন্যতম চর্চিত খান সইফ। অভিনেতা যে রাজপরিবারের ছেলে সেকথা কারুরই অজানা নয়। শরীরে রাজরক্ত বইলেও সবকিছুই যে জন্মসূত্রে পেয়েছেন পতৌদির নবাব তেমনটা নয়। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন মনসুর আলি খান পতৌদি এবং শর্মিলা ঠাকুর পুত্র। অভিনেতা ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন পতৌদির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের প্রাসাদটি পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে তাঁর ঝুলিতে আসেনি। নিজের টাকা দিয়ে পূর্বপুরুষের এই স্মৃতিচিহ্ন পুনরুদ্ধার করতে হয়েছে তাঁকে। সইফ জানান, ‘মানুষের সবকিছু সম্পর্কে একটা নির্দিষ্ট ধারণা থাকে। যেমন ধরুণ- যখন আমার বাবার মৃত্যু হয় তখন পতৌদির রাজপ্রসাদ নীমরানা হোটেল চেনের কাছে লিজে দেওয়া ছিল। অমন(নাথ) এবং ফ্রান্সিস (ওয়াকজিরাং) সেই হোটেল চালাতো, ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল আমি কি ফেরত চাই পতৌদির প্রাসাদ? পরিবর্তে আমার কাছে একটা মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছিল। সেটা আমাকে দিতে হয়।
ফ্রান্সিস ওয়াকজিরাং এবং অমন নাথ যৌথভাবে মনসুর আলি খান পতৌদির থেকে ১৭ বছরের জন্য লিজে পতৌদির প্যালেসটি নিয়েছিলেন হোটেল ব্যবসার জন্য। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দ্য পতৌদি প্যালেস হোটেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এরপর সেটি সইফ পুনরুদ্ধার করে নেন।
সইফ আরও যোগ করেন, পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে যে প্রাসাদটি আমার হওয়ার কথা ছিল সেটা আমাকে নিজের উপার্জন করা টাকা দিয়ে ফিরে পেতে হয়েছে। অতীতকে ভুলে বাঁচা যায় না, অন্তত আমাদের পরিবারে তো তেমনটাই রীতি। ওই প্রাসাদটার সঙ্গে অনেক ইতিহাস, স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ওখানেই বড় হয়ে ওঠা কিন্তু হ্যাঁ আমি ওটা পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে পায়নি’।
হরিয়ানার গুরুগ্রাম জেলায় অবস্থিত পতৌদির এই প্রাসাদ, অনেকেই একটা ইব্রাইম কোঠি বলেও উল্লেখ করে থাকেন। ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই এই প্রাসাদে রয়েছে ১৫০টি কক্ষ। এই প্রাসাদের বর্তমান বাজার মূল্য ৮০০ কোটি টাকা। সইফের ঠাকুরদা ইফতিকার আলি খান ছিলেন পতৌদির শেষ নবাব। এই প্রাসাদে শ্যুটিং হয়েছে জুলিয়া রবার্টের বিখ্যাত হলিউড ছবি ইট প্রে লাভ সহ, মঙ্গল পাণ্ডে, বীর জারা, গান্ধী: মাই ফাদার এবং মেরে ব্রাদার কি দুলহানের মতো বলিউড ছবির।