আর তর সইছে না সইফের। শীঘ্রই নিজের পরিবারের সঙ্গে পতৌদির প্যালেসেই স্থায়ীভাবে থাকতে চান অভিনেতা। তৈমুরের বাবা-মা, খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের দ্বিতীয় সন্তানকে স্বাগত জানাতে চলেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাকারে সইফ জানান, তৈমুর এখন বেশ বড়ো হয়ে গিয়েছে, প্রকৃতির সঙ্গে এখন অনেকখানি একাত্ম সে, তাই ভয় পাওয়া তো দূর অস্ত বরং পতৌদিতে পৌঁছালে সেখানে পোকা-মাকড় কিংবা প্রজাপতির পিছু ধাওয়া করে সে।
তাহলে কি পতৌদিতেই স্থায়ীভাবে থাকবেন সইফ? মুম্বই মিররকে অভিনেতা বলেন- 'আমি তো পারব,এবং সেটা একটা দারুণ জীবন হবে। আমার একটা আস্ত বাগান রয়েছে,আমি সাঁতার কাটব, রান্না করব, বই পড়ব- এবং সঙ্গে থাকবে পরিবার, মাঝেমধ্যে বন্ধুরা আসবে- গল্প হবে, আড্ডা জমবে। আমি এটাই করে আসছি দীর্ঘ সময় ধরে, আমাদের মুম্বইতেও একটা অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, তাই কাজের সূত্রে আমরা সহজেই আসতে পারব এখানে। তবে আমাদের একটা ভালো স্কুল প্রয়োজন (পতৌদির) আশেপাশে।
অভিনেতা যোগ করেন তাঁর পরিবারের ট্রাস্ট রয়েছে তবে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পতৌদির আম জনতার জন্য কিছু উদ্যোগ শুরু করেছেন। শিশুকন্যাদের শিক্ষা,অ্যাসিড আক্রমণের শিকার মেয়েদের সাহায্য করে দ্য পতৌদি ট্রাস্ট, তবে এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন সইফ। পতৌদি প্যালেসের আশেপাশের মানুষগুলোর জন্য আরও বেশি করে কাজ করতে চান সইফ আলি খান। উল্লেখ্য হরিয়ানার গুরুগ্রামে অবস্থিত পতৌদি প্যালেস। সইফের পূর্বপুরুষরা ওইখানকার নবাব ছিলেন। রাজপাট না থাকলেও আজও ওখানকার মানুষের কাছে নবাব বলেই পরিচিত সইফ আলি খান।
দ্বিতীয়বার বাবা হওয়ার বিষয়ে সইফ জানান, তিনি আর সবুর করতে পারছেন না। অভিনেতা যোগ করেন- ‘ছেলে মেয়ে মানুষ করবার জন্য এটা একদম পারফেক্ট বয়স। তোমার যখন বয়স কম থাকে,তখন তুমি নিজেকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকো, তোমার কেরিয়ার নিয়ে- তবে এখন তুমি অনেক বেশি স্থির, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, তোমার হাতে সময় অনেক বেশি সঙ্গে ধৈর্য- ভালোবাসার পাশাপাশি সন্তানের জন্য এগুলো থাকাও খুব জরুরি। আর নিজের জন্মভূমির চেয়ে ভালো জায়গা আর কী বা হতে পারে এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করার জন্য! রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বড় বিছানায় বই পড়ার আনন্দ-আর তোমাকে চারপাশে ঘিরে থাকবে তোমার স্ত্রী, সন্তানেরা এবং তোমার প্রিয় সারমেয়’।