করোনার কারণে আপতত স্ত্রী করিনা কাপুর খান ও ছেলে তৈমুরকে নিয়ে মুম্বইয়ে ঘরবন্দি সইফ আলি খান। অন্যদিকে দিল্লিতে রয়েছেন অভিনেতার মা, তথা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। মা'কে নিয়ে এমনিতেই চিন্তায় থাকেন সইফ, করোনা পরিস্থিতিতে সেই চিন্তা দ্বিগুণ হয়েছে। তারপর লকডাউনে মায়ের মেজাজ নাকি পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। তাই আরও বেশি চিন্তায় পড়েছেন 'জবানি জানেমন' তারকা।
মুম্বই মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সইফ জানিয়েছেন, আমি অবশ্যই মাকে নিয়ে চিন্তিত। হঠাত্ করেই মায়ের কথাবার্তা বিজ্ঞের মতো শোনাচ্ছে। বলছে আমি জীবনে সবকিছু দেখে নিয়েছি, কোনওরকম অনুশোচনা নেই। এই সব শুনেও ভয় লাগে। সইফ আরও জানান তাঁর বোন সাবাও রেগে আছে দাদার উপর, অন্যদিকে সোহাকেও প্রচন্ড মিস করছেন তিনি।
কেন সাবার রাগ হয়েছে? সইফ জানান, ওর বিশ্বাস আমি আগে থেকে জানতাম এই ব্যাপারে এবং ওকে ইচ্ছাকৃতভাবে বলিনি। সোহার সঙ্গেও লকডাউনের জেরে দেখা হচ্ছে না, তবে ভিডিয়ো কলে হামেশাই ওর সঙ্গে কথা হয়। যখন আপনি কোনও দূরের জলযাত্রায় বার হন, তখন দেশ-দুনিয়ার থেকে আপনি আলাদা হয়ে যান, এটাও সেইরকমই এক পরিস্থিতি'।
প্রসঙ্গত মা শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে দিল্লিতে থাকেন সইফের এক বোন সাবা, অন্য বোন সোহা মুম্বইতেই থাকেন।
অন্য একটি সাক্ষাত্কারে লকডাউনের পরিস্থিতিকে ঊনবিংশ শতাব্দীর জলযাত্রার সঙ্গে তুলনা করে বলেছিলেন, তুমি মাটি দেখতে পাবে অল্প দূর থেকেই কিন্তু জলের রেখা তোমাকে দূরে ঢেলে রাখবে, আমরা সেই পরিস্থিতিতেই আছি'। যদিও আজকের যুগের টেকনোলজি দূরে থাকা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা অনেক সহজ করে দিয়েছে বলেই মনে করেন পতৌদির নবাব।
লকডাউনের এই সময়টায় ছেলের সঙ্গে যতটা বেশি সম্ভব সময় কাটাচ্ছেন সইফ। তৈমুরকে গাছপালার সঙ্গে পরিচয় করাচ্ছে, তাদের খেয়াল রাখা শেখাচ্ছেন। করিনার সঙ্গে মিলে প্রচুর রান্না করছেন আর হ্যাঁ, নিজের বই পড়ার অভ্যাসটা আরও মজবুত করে তুলছেন।