প্রিয়দর্শনের আসন্ন ছবি হাইওয়ানে তাঁদের বহু প্রতীক্ষিত পুনর্মিলনের আগে, বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান এবং অক্ষয় কুমারকে দেকা গেল টুইঙ্কল খান্না ও কাজলের টক শো ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’-এ এসেছিলেন। আজই এই পর্বটি মুক্তি পেয়েছে এবং বলাই বাহুল্য, চার তারকা সিনেমা, ব্যক্তিগত জীবন এবং অন্যান্য নানা বিষয়ে গল্পে মজেছিলেন। এমনকী, সইফ আলি খান তাঁর বাড়িতে যে অনুপ্রবেশকারী ঢোকে ও হামলা চালায়, সেই ঘটনা নিয়েও কথা বলেছেন।
সইফ এই বছরের জানুয়ারিতে তাঁর বান্দ্রার বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার বিষয়ে মুখ খোলেন। অভিনেতা তাঁর ঘাড়, পিঠ এবং কোমরে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন, হাসপাতালে পৌঁছনোর সময়ও তার মেরুদণ্ডে ছুরির একটি অংশ বিঁধে ছিল। এবার সইফ প্রকাশ করেছেন যে, বাড়িতে এই আক্রমণের সময় তার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলি খান ওরফে জেহ-ও আহত হয়েছিল।
সাইফ আলি খান জানান, জানুয়ারির সেই রাতে তিনি এবং তার দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ-কে নিয়ে একটি সিনেমা দেখার পর রাত প্রায় ২টো নাগাদ ঘুমাতে যান। করিনা কাপুর খান সেই সন্ধ্যায় বাইরে ছিলেন, এবং তিনি ফিরে আসার পর দম্পতি ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ কথা বলেন। সইফ জানান, ‘হঠাৎ পরিচারিকা এসে বললেন যে জেহ-র ঘরে কেউ একজন আছে এবং টাকা চাইছে। আমি অন্ধকারেই জেহ-র ঘরে ঢুকে পড়ি এবং দেখি একজন লোক ছুরি হাতে ওর বিছানার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।’
সইফ এরপর নিজের কথায় আরও যোগ করেন, ‘জেহ ও ওর আয়াকে যখন ভয় দেখাচ্ছিল, তখন ছুড়ির আঘাতে জেহর হাত সামান্য কেটে গিয়েছিল। আয়াকেও আঘাত করেছিলেন সেই আততায়ী।’
ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল তা স্মরণ করে সইফ বলেন, ‘আমি ঘরে ঢুকি এবং লোকটিকে দেখি, আমার মনে হয়েছিল সে আমার চেয়ে ছোট, অর্থাৎ খুব বড়সড় নয়, তাই আমি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি। জেহ পরে আমাকে বলেছিল যে, এটা একটা বড় ভুল ছিল আমার এবং পরামর্শ দিয়েছিল যে আমার ওকে (ওই আততায়ীকে) ঘুষি বা লাথি মারা উচিত ছিল। কিন্তু আমি ঝাঁপিয়ে পড়ি, এবং আমাদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়, আর তারপর আমরা দুজনেই উন্মত্ত হয়ে যাই। তার কাছে দুটি ছুরি ছিল, এবং সে আমার উপর এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে, আমি আমার প্রশিক্ষণের কথা মনে করার চেষ্টা করি এবং কয়েকবার তাকে আটকাই। হঠাৎ আমি আমার পিঠে একটি জোর ধাক্কা অনুভব করি, এবং সেটা সত্যিই খুব মারাত্ম ছিল।’
এরপর রক্তারক্তি হয়ে যায়। এমনকী ৭ বছরের তৈমুর ভয় পেয়ে সইফকে প্রশ্ন করেছিলেন যে তিনি মারা যাবেন কি না। হাসপাতালে যাওয়ার আগে সইফ আশ্বস্ত করেন তৈমুরকে। সেই রাতে পরিবারকে রক্ষা করে সইফ একজন সত্যিকারের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন।