এই বছরের শুরুতে মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতেই সইফ আলি খানের উপর ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে এক আততায়ী। যে মাঝরাতে ঢুকে পড়েছিল অভনেতার বাড়িতে। এবার সেদিনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। কেন হাসপাতালে ঢোকার সময় হুইলচেয়ার নিতে অস্বীকার করেছিলেন, তাও খোলসা করলেন।
টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কলের সর্বশেষ পর্বে কথা বলতে গিয়ে সইফ আরও জানান যে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি ফিরতে অস্বীকার করেন। অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে কাজল এবং টুইঙ্কল খান্নার শো-তে অংশ নিতে গিয়েছিলেন সইফ। ছুরিকাঘাতের পর অটোটে হাসপাতালে পৌঁছন সইফ। তাঁকে নিয়ে যান ৭ বছরের ছেলে তৈমুর। এমনকী হাসপাতালে পৌঁছেও হুইলচেয়ার নিতে অস্বীকার করেন সইফ।
সইফ জানান যে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে হুইলচেয়ারের পরিবর্তে স্ট্রেচার চেয়েছিলেন। অভিনেতা বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে ঢুকেছিলাম, এবং সেই সময় জরুরি বিভাগে ঘুমিয়ে ছিল। আমি একজনকে বললাম, 'আমরা কি স্ট্রেচার পেতে পারি?' সে বলল, 'হুইলচেয়ার?' আমি বললাম, 'না, আমার মনে হয় আমার স্ট্রেচার দরকার।' সে বলল না। এবং অবশেষে আমি বললাম, ‘হেই’! কারণ সে ঘুম থেকে উঠছিল না, 'আমি সাইফ আলি খান। এটা একটা মেডিকেল ইমার্জেন্সি'।’
আর সইফের থেকে সেদিনের ঘটনা শুনে অক্ষয় কুমার বলে ওঠেন, ‘লড়াইয়ের জন্য তোমাকে অভিবাদন। এটা তোমার সাহস ছিল। আমি তোমাকে বলতে চাই, তুমি একজন সত্যিকারের নায়ক ছিলে, অন্তত তোমার ছেলে এবং তোমার পরিবারের জন্য।’
এদিন কথোপকথনের সময় কাজল জানান যে, তিনি যখন সইফের হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার একটি ভিডিয়ো দেখেন, অবাক হয়েছিলেন। এতে সইফ জানান যে, ‘হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগে কিছু লোক আমার কাছে এসে পরামর্শ দিয়েছিলেন, বলেছিলেন কীভাবে সেখান থেকে আমার বের হওয়া উচিত। মিডিয়া কৌতূহলী ছিল। কেউ আমার কথা শুনছিল না। আমি বললাম, 'যদি মিডিয়া কৌতূহলী হয়, তাহলে আমাদের এটি মীমাংসা করা উচিত। আমাকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে দিন কারণ আমি হাঁটতে পারি'।’
'ওরা এখানে (ঘাড়ের দিকে ইঙ্গিত করে) ছুড়িকাঘাত করে। সবকিছু ঠিক ছিল। তারা এটা সেলাই করে দিল, আর আমি এক সপ্তাহ ওখানে ছিলাম। পিঠ ঠিক ছিল, হাঁটতে ব্যথা হচ্ছিল, কিন্তু আমি হাঁটতে পারছিলাম। হুইলচেয়ারের প্রয়োজন ছিল না। তারপরও কেউ বলল, 'তোমার অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়া উচিত,' কেউ বলল, 'তোমার হুইলচেয়ারে যাওয়া উচিত।' আমার সহজাত প্রবৃত্তি ছিল, কেন কোনও ধরণের আতঙ্ক বা উদ্বেগ তৈরি করব না। পরিবার, ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী যে কারও মধ্যে? কিন্তু দেখা গেল তারপর লোক বলতে শুরপ করল যে, 'এটা ভুয়ো, সত্যি নয়'।’
১৬ জানুয়ারী ভোরে মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে সইফের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। আক্রমণকারী তাঁকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে, যাকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিনেতাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং লীলাবতী হাসপাতালে তাঁর মেরুদণ্ড এবং প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। ২১ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।