গত মাসে নিজের বাড়িতে ছুরিকাঘাতের মুখে পড়েন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। ১৬ জানুয়ারি চোর ঢোকে তাঁর বান্দ্রার বহুতলে। সেই অনুপ্রবেশকারীকে আটকাতে গিয়ে আহত হন অভিনেতা। এমনকী, ছুরির একটা অংশ গেঁথে যায় তাঁর মেরুদন্ডের পাশে। যা অস্ত্রোপচার করে বেরতে হয়। ঘাড়েও চোট পান তিনি।
তৈমুরের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সইফ আলি খান বলেন
সইফ বর্তমানে এই ভয়কর ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন অবশেষে। জানিয়েছেন হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আহত হওয়ার পর তার কুর্তা রক্তে ভেসে গিয়েছিল। সইফের স্ত্রী কারিনা এবং দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ নীচে নেমে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটো বা ক্যাবের খোঁজার চেষ্টা করেন।
‘আমি বললাম, ব্যথা লাগছে। পিঠেও সমস্যা হচ্ছে। ও (করিনা) বলল, তুমি হাসপাতলে যাও, আমি ছেলেদের নিয়ে বোনের (করিশ্মা) বাড়ি চলে যাব। ও পাগলের মতো ফোন করছি একেওকে। কেউ ফোন তুলছিল না। এরপর ও অসহায়ের মতো তাকায় আমার দিকে। আমি শান্ত করতে বলি, 'আমি ভাল আছি। আমি মরব না।' এরপর তৈমুরও আমাকে প্রশ্ন করে, 'আব্বা তুমি কি মরতে যাচ্ছ?' আমি ওকেও বলি, 'না'।’
প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, সইফের বড় ছেলে ইব্রাহিম তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আহত সইফের সঙ্গে আসে ৮ বছরের তৈমুর।
আর এই প্রসঙ্গে সইফ জানায়, ‘ও (তৈমুর) ভীষণ ঠান্ডা মাথায় ছিল। আমাকে বলল, 'আমি তোমার সঙ্গে আসছি।' আমারও তখন মনেএকটা ভয় কাজ করছিল, যদি কিছু হয়ে যায়… ওকে দেখে আসলে খুব শান্তি লাগছিল। আমিও একা হাসপাতালে যেতে চাইনি। আমার স্ত্রী জেনেই ওকে সঙ্গে পাঠিয়েছিল, ও কী করতে পারে। আমার তখন ভালো লাগছিল যে তৈমুর সঙ্গে যাচ্ছে। মনে হচ্ছিল ভগবান না করুন যদি কিছু হয়ে যায়… ও তো সঙ্গে থাকবে। আর ও নিজেও সেটা চাইছে। তখন আমরা ৩জনই হাসপাতালে চলে যাই, আমি, তৈমুর আর হরি, অটোয় চেপে। ’
সইফ আলি খানের উপর হামলা
লীলাবতী হাসপাতালে ৫ দিন কাটাতে হয় সইফকে। হামলার দিনই অভিনেতার দুটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। চিকিৎসকের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে ছ'টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যার মধ্যে দুটি আঘাত গভীর। ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সাইফ। চলতি মাসের শুরুর দিকে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার একটি অনুষ্ঠানে প্রথম আসেন জনসমক্ষে। গলায় ব্যান্ডেজ এবং হাতে কাস্ট নিয়েই মঞ্চে উঠে সইফ ‘জুয়েল থিফ’-এর প্রচার করেন।