বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Kareena-Saif: তৈমুরকে ‘বিগড়ে’ দিচ্ছে সইফ! বরের সঙ্গে সেই নিয়ে মাঝেমধ্যেই ‘ঝগড়া’ লাগে করিনার

Kareena-Saif: তৈমুরকে ‘বিগড়ে’ দিচ্ছে সইফ! বরের সঙ্গে সেই নিয়ে মাঝেমধ্যেই ‘ঝগড়া’ লাগে করিনার

স্বামী সইফ আলি খান এবং দুই ছেলে তৈমুর এবং জে-এর সঙ্গে করিনা কাপুর খান

রাত ১০টায় তৈমুরের ঘুমানোর সময়ে ওকে নিয়ে সিনেমা দেখতে বসে সইফ, মেজাজ বিগড়ে যায় করিনার!

সন্তান মানুষ করা মোটেই সহজ কাজ নয়! সেই জন্য মাঝেমধ্যে কড়াও হতে হয় মায়েদের। তার উপর ছেলে যদি জন্ম থেকেই গোটা দেশের নয়ণের মণি হয় তাহলে তো কথাই নেই! সইফ-করিনার ছোট্ট শাহজাদা তৈমুর সদ্য পাঁচ পূর্ণ করল। যদিও এই প্রথম জন্মদিনে ছেলের পাশে থাকলেন না করিনা, করোনা আক্রান্ত বেবো আপতত আইসোলেশনে। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে করিনা ফাঁস করেছেন তিনি বেশ শক্ত মাম্মা। ছেলেকে কড়া নিয়ম-শৃঙ্খলায় বেঁধে রাখতে সবরকম চেষ্টা করেন তিনি। 

২০১২ সালে নিকাহ সারেন সইফিনা। বিয়ের চার বছর পর করিনার কোল আলো করে আসে তৈমুর। চলতি বছরেই আরও এক পুত্র সন্তানের জননী হয়েছেন বেবো। 

কসমোপলিটন ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে করিনা বলেন, ‘আমি খুব কঠোর তেমনটাও নয়, আমার মনে হয় মা হিসাবে আমি যথেষ্ট রিল্যাক্সড আর হাসিখুশি। তবে আমাকে সন্তানদের মধ্যে নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয়টা একটু বেশি ঢুকিয়ে দিতে হয় কারণ সইফ তৈমুরকে প্রচণ্ডরকমভাবে বিগড়ে দিচ্ছে যার জেরে আমি মাঝেমধ্যে প্রচুর রেগে যাই। এই লকডাউন চলাকালীন আমাদের রোজনামচা পুরো ঘেঁটে গিয়েছিল। সইফ রাত ১০টার সময় তৈমুরের সঙ্গে কোনও সিনেমা দেখা শুরু করবে, তখন আমাকে সেটা আটকাতে হবে কারণ ওটা তৈমুরের ঘুমানোর সময়’। 

দুই ছেলেকে একসঙ্গে সামলানো কি বেশি কঠিন? করিনা জানান, ‘একদমই, এখন বিষয়টা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। আমাকে ওদের খাওয়ার, ঘুমানোর সময়ের খেয়াল রাখতে হয়। সইফ সন্তানদের নিয়ে এতটাই রিল্যাক্সড যে আমাকে একটু বেশি কঠোর হতে হয়। আমার মনে হয় প্রত্যেক শিশুকেই বড় হতে হয় কিছু নিয়মানুবর্তিতা মেনে’। 

করোনা আক্রান্ত করিনা তৈমুরকে সরাসরি শুভেচ্ছা জানাতে না পারলেও ভার্চুয়ালি আদরে ভরিয়ে দিয়েছেন। সোমবার টিমটিম (তৈমুুরের ডাকনাম)-এর জন্মদিনে তাঁর প্রথম হাঁটার ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বেবো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করিনার নয়নের মণির সেই ভিডিয়ো। 

 

বন্ধ করুন